কলকাতা: ৮ জুলাই ছিল ভোট। ১১ জুলাই হয়েছিল ফলপ্রকাশ। রাজ্যজোড়া ঘাসফুল ঝড়ে শাসকদলের কাছে কার্যত ধরাশায়ী হয় বিরোধীরা। কিছু জেলায় জোরদার ‘ফাইট’ হলেও সিংহভাগ জেলাতেই সিংহভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের দখল নিজেদের কাছে রেখেছিল তৃণমূল। দিকে দিকে উড়েছিল সবুজ আবির। কিন্তু, পঞ্চায়েতে বেলাগাম হিংসা, ভোটে অনিময়, ছাপ্পা নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে আদালতে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে না। রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নজরে ছিল বিএসএফের পেশ করা রিপোর্ট ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পেশ করা হলফনামা। তাই পঞ্চেয়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে দেখা দিয়েছিল সিঁদুরে মেঘ। কিন্তু, অবশেষে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দিল রাজ্য সরকার।
কোর্টের রায়ের পর যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা আর আপাতত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, অ্যাডভোকেট জেনারেল পরামর্শ দিয়েছেন আর বাধা নেই বোর্ড গঠনে। চলতি সপ্তাহের মামলায় এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়৷ তারপরেই বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলাশাসক, জেলা স্তরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কাছে এউ নির্দেশিকা পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বোর্ড গঠন নিয়ে কোনও অশান্তি এড়াতেও তৎপর প্রশাসন। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক হয় জেলা-কর্তাদের। সেখানেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর।