KMC: আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নেওয়ার হিড়িকে হিমশিম কলকাতা পৌরনিগম

KMC: স্বাভাবিকভাবেই নতুন সিদ্ধান্তে এই বিপুল ভিড় সামাল দেওয়া রীতিমতো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী - আধিকারিকদের কাছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, অনলাইন এবং অফলাইন মিলিয়ে গত সাতদিন আগেও ৩০০-৩৫০ আবেদন এসেছে।

KMC: আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নেওয়ার হিড়িকে হিমশিম কলকাতা পৌরনিগম
কলকাতা পুরসভার জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদান কক্ষে ভিড় Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 01, 2025 | 5:53 PM

কলকাতা: সিদ্ধান্তে বদল আনতেই ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে গেল কলকাতা পুরসভার জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদান কক্ষে। আর সেই ভিড় সামাল দিতে দিতে গিয়ে নাভিঃশ্বাস উঠছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের। এতদিন কলকাতা পুরসভার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অর্থাৎ চ্যাটবটের মাধ্যমে ১৫৬ জন আবেদন করে অনুমোদন পেতেন। সেটা সোমবার থেকে দ্বিগুণ করে দেওয়া হল। অর্থাৎ ৩১২ জন আবেদনকারী স্লট পাবেন।

মূলত, ১১-৩ টে পর্যন্ত আবেদন জমা এবং সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ হয়ে থাকে। মোট চার ঘণ্টায় আধ ঘণ্টা করে মোট ৮টি স্লট ভাগ করা রয়েছে। এতদিন প্রতি আধ ঘন্টায় ২০ জন করে এক একটি স্লট পেতেন। কিন্তু আজ থেকে প্রতি আধ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ জন। লোকবলের অভাব, পরিকাঠামোর অভাব অথচ আবেদনকারীর সংখ্যা এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

স্বাভাবিকভাবেই নতুন সিদ্ধান্তে এই বিপুল ভিড় সামাল দেওয়া রীতিমতো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী – আধিকারিকদের কাছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, অনলাইন এবং অফলাইন মিলিয়ে গত সাতদিন আগেও ৩০০-৩৫০ আবেদন এসেছে।

কিন্তু গত তিন দিন ধরে গড়ে ৫৫০-৫৭৫টি করে আবেদন জমা পড়ছে। কোনদিন তা ১০০০ ছুঁয়ে যাচ্ছে। কলকাতা পুরসভার তরফে পৃথক করে ক্যাম্প খোলার কথা রয়েছে।তবে এদিন গিয়ে দেখা গেল, আবেদনকারীদের লাইন অন্তত ৫০০ মিটার ছাঁড়িয়ে গিয়েছে।

কেউ এসেছেন ৫০ বছর আগে জন্ম নিলেও এখন বার্থ সার্টিফিকেট নিতে এসেছেন, কেউ আবার ১০ বছর আগে সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলেও এখন তার হুঁশ ফিরেছে, তিনিও এসেছেন। আবার কেউ কেউ এসেছেন সুন্দরবন থেকেও।

পাঁচ – ছয় আগে বছর আগে পরিজনের মৃত্যু হলেও এখন এস আই আর এর ভয় ছুটে এসেছেন মৃতের পরিজনরা। এই ধরনের একাধিক ছবি উঠে এলো ওই জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র প্রদান কক্ষে। এক আবেদনকারী বলেন, “মাঝে তো করোনা পিরিয়ড ছিল। তারপর শিয়ালদহ আদালত, বারুইপুর আদালত ঘুরি। অনেক হেনস্থা হয়। তারপর এখন দিচ্ছে।” ২০২১ সালে পরিজনের মৃত্যু হয়েছে, এখন শংসাপত্র নিতে এসেছেন, এমন আবেদনকারী বলেন, “এখন দরকার পড়েছে, তাই নিতে এসেছি। বাড়ির লোক ভুলে গিয়েছিল।”

ভিড় এতটাই বেশি হচ্ছে, যে পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মীদের। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রনিতা সেনগুপ্ত বলেন, “ম্যান পাওয়ার কেবলমাত্র প্রস্তুত হয়েছে। তাঁদেরকে বিভিন্ন জায়গা থেকে বদলি করিয়ে আনতে হবে। একটু সময় লাগছে। নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হবে। কাউন্টারেও জায়গা কম। একটা বড় জায়গার প্রয়োজন রয়েছে। যা ভিড় হচ্ছে, তাতে একটা কাউন্টারে হচ্ছে না।”