AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

OBC Reservation: ‘খোলামকুচির মতো দিয়েছেন মমতা’, OBC-র নতুন বিধি এনে কাদের সংরক্ষণ দিতে চেয়েছিল CPIM?

OBC Certificate: ২০১২ সালের বিধি অনুযায়ী, যে সব শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে ওই শংসাপত্র দেখিয়ে যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরি বা কোনও সুবিধা পেয়েছেন, তা বাতিল হবে না বলে জানিয়েছে আদালত।

OBC Reservation: 'খোলামকুচির মতো দিয়েছেন মমতা', OBC-র নতুন বিধি এনে কাদের সংরক্ষণ দিতে চেয়েছিল CPIM?
ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তরজাImage Credit: GFX- TV9 Bangla
| Updated on: May 23, 2024 | 4:03 PM
Share

কলকাতা: ২০১০ সালের পর থেকে যাঁরা ওবিসি শংসাপত্র পেয়েছেন, তাঁদের শংসাপত্র বাতিল হবে। বুধবার একটি মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১২ সালে তৃণমূল সরকার ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে যে বিধি তৈরি করেছিল, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। তবে পর্যবেক্ষণে আদালত উল্লেখ করেছে, ২০১২ সালে বিধি তৈরি হওয়ার আগেই ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়ে বিশেষ ঘোষণা করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। সেই তালিকায় মুসলিমদের একটা অংশকে সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। নির্দেশনামাতেও উল্লেখ আছে সে কথা।

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন বাম সরকার অনগ্রসর শ্রেণির মুসলিমদের ১০ শতাংশ ও বাকিদের ৭ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেই তালিকায় ছিল ৪১টি মুসলিম সম্প্রদায়কে জায়গা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। পরে ২০১২ সালে তৃণমূল বেশ কিছু রদবদল করে। নতুন করে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করে আইন কার্যকর করে। সেই আইন নিয়েই আপত্তি আদালতের।

তবে বামেরা বলছেন, তাঁদের তৈরি তালিকা ঠিকই ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তন করার পরই সমস্যা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানান, দেশের মধ্যে তৎকালীন বাম সরকারই প্রথম পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছিল। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নতুন তালিকা তৈরি করে তৃণমূল সরকার। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী কোনও বাছ-বিচার না করেই সার্টিফিকেট দিয়েছে বলেও অভিযোগ সেলিমের। তিনি বলেন, “খেলামকুচির মতো সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে মাদ্রাসা সহ একাধিক চাকরির ক্ষেত্রে ওবিসি-দের আলাদা করে সংরক্ষণ দেওয়া হয়নি, তবে পঞ্চায়েত-পুরসভার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে সেই সার্টিফিকেট।” সব বাতিল করে বামেদের মতো তালিকা তৈরি করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন সেলিম।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের বিধি অনুযায়ী, যে সব শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে ওই শংসাপত্র দেখিয়ে যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরি বা কোনও সুবিধা পেয়েছেন, তা বাতিল হবে না বলে জানিয়েছে আদালত।