
কলকাতা: বাংলার বুকে OMR একটা চর্চিত বিষয়। বিতর্ক বললেও ভুল হবে না। কারণ, এই OMR শিটের স্বচ্ছতা ঘিরে তৈরি হওয়া প্রশ্ন বাতিল করছে একটা আস্ত নিয়োগ প্য়ানেলকে। OMR প্রশ্নের মুখে ফেলেছে রাজ্য সরকারকেও। এবার সেই OMR মাধ্যমেই সম্প্রতি আয়োজিত হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্বের পরীক্ষা। SSC পর্বে যে OMR ‘বজায় রাখতে পারেনি’ নিজের স্বচ্ছতা, তা কি পারবে উচ্চ মাধ্যমিক পর্বে? শুক্রবার উচ্চ মাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদের আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল সেই প্রশ্নই।
এদিন পরীক্ষা শেষের ৩৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্বের ফলাফল। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। প্রকাশ করেন মেধাতালিকা। এই বৈঠকেই OMR নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তিনি জানান, ‘এই গোটা পর্বে ৩৮ লক্ষের অধিক ওএমআর আমাদের কাছে জমা পড়েছে। এই সংখ্য়া সাধারণ নয়। তাই সেই ওএমআর সংরক্ষণে ব্যবস্থাও অঢেল।‘ তাঁর সংযোজন, ‘পরীক্ষার পর সমস্ত OMR শিটগুলিকে ডিজিটাল ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর এগুলির হার্ডকপি ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে।’
এই প্রথমবার বাংলায় সেমেস্টার পদ্ধতিতে আয়োজিত হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। যাঁর প্রথম পর্বে ফলাফল প্রকাশিত হল শুক্রবার। এই পর্বের মেধাতালিকায় চমক দিল বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারা। বরাবরই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকা নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে বিজ্ঞান বিভাগ। কিন্তু এবার তা একটু আলাদা। প্রথম দশে থাকা ৬৯ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৬৮ জন পড়ুয়াই বিজ্ঞান বিভাগের। বাকি পরে থাকা একজন বাণিজ্য বিভাগে পাঠরত।