কলকাতা: মহালয়ার দিন থেকেই ভিড়টা দেখা গিয়েছিল শ্রীভূমির মতো নামকরা পুজো মণ্ডপগুলিতে। তারপর থেকেই জনজোয়ার কলকাতার প্রায় প্রতিপ্রান্তে। চতুর্থীতে জনপ্লাবন চেতলা অগ্রণী থেকে টালা বারোয়ারি, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে সন্তোষপুর লেকপল্লি সর্বত্রই। এদিকে চতুর্থীর সন্ধ্যায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোনও খামতি রাখতে চাইছে না কলকাতা পুলিশ। শহরে এদিন নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন ৪ হাজার পুলিশ কর্মী। অন্যদিকে পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত সংখ্য়াটা বেড়ে হবে ৮ হাজার। পুজোয় মেতে উঠেছেন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সকলেই।
রাত পোহালেই মুক্তি পেতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত দশম অবতার। ছবিতে রয়েছেন জয়া এহসান, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তারকারা। ছবি ঘিরে শহরে উন্মাদনা তুঙ্গে। এবার সেই ছবির তারকারা ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়লেন চতুর্থীর সন্ধ্যায়। সুরুচির মণ্ডপে দেখা গেল অনির্বাণদের। পুজোর উচ্ছ্বাস তাঁরও মুখে। বললেন, মণ্ডপ দেখে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে। আমি তো খুব একটা কলকাতার পুজো দেখতে অভ্যস্ত নই। এ বছর এখানে এসে ভাল লাগছে। এসে বুঝলাম, না এলে কী জিনিস মিস করতাম। জয়া এহসান বললেন, আমি প্রতিবার এখানে আসি। খুব ভাল লাগছে।
অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যা থেকেই ব্যাপক ভিড় দেখতে পাওয়া গিয়েছে দেশপ্রিয় পার্ক, একডালিয়া এভারগ্রিনের মতো পুজো মণ্ডপগুলিতে। সর্বত্রই মানুষের ঢল। বাড়তি পুলিশ কর্মীরা তো নিরাপত্তার দায়িত্বে নামছেন ঠিকই। তেমনই দায়িত্বে থাকছেন ২০০ ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকছেন ৮২ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। একইসঙ্গে তিলোত্তমায় রয়েছে ১৬টি QRT ভ্যান। একইসঙ্গে লালবাজারের কন্ট্রোলরুম থেকে গোটা শহরে নজর রাখছেন পুলিশ কর্তারা। ডিসি ট্র্যাফিক শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও বলছেন, “আমরা তৈরি রয়েছি। প্রচুর লোক আসছে শহরে। আইন-শৃঙ্খলা যাতে ঠিক থাকে সেদিকে আমরা নজর রাখছি। আশা করছি সব ঠিক থাকবে।”