কলকাতা মেডিক্যালের মহিলা ইন্টার্নকে হুমকির অভিযোগ, ফের বিতর্কে নির্মল মাজির নাম

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 30, 2021 | 1:37 PM

Nirmal Maji: এই ঘটনায় নির্মল মাজিকে টিভি নাইন বাংলার তরফে বার বার ফোন করা হলেও তা তিনি ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলে তা 'রিড' করলেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

কলকাতা মেডিক্যালের মহিলা ইন্টার্নকে হুমকির অভিযোগ, ফের বিতর্কে নির্মল মাজির নাম
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: আবারও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ‘নির্মল-বিতর্ক’। ফের বিতর্কের কেন্দ্রে শাসকদলের নেতা নির্মল মাজি। এবার কর্তব্যরত মহিলা ইন্টার্নকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, গত ২৪ জুলাই লিভারের অসুখে আক্রান্ত এক রোগীকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর পরিজনকে বলা হয়, সিস্টারের কাছ থেকে রোগীর বেড নম্বর জেনে আসার জন্য। সেই সময় সেখানে মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ছিলেন অভিযোগকারী।

অভিযোগ, রোগীর পরিজনরা সিস্টারের কাছে যেতে আপত্তি করেন। উল্টে তাঁরা ফোনে একজনকে ধরেন। অভিযোগ, ফোনের ওপারে তখন ছিলেন নির্মল মাজি। তিনি বার বার ওই মহিলা ইন্টার্নকে হুমকি দেন ‘অ্যাকিউট মেডিসিন ওয়ার্ডে’ এই রোগীকে ভর্তি করতে হবে। এমনও অভিযোগ, নির্মল মাজি ওই ইন্টার্নকে বলেন, তাঁর হাতেই ইন্টার্নের রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা অনুমোদনের ক্ষমতা রয়েছে।

এই হুমকির পরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে এক অস্থিরতা তৈরি হয় বলে অভিযোগ। অধ্যক্ষকে তাঁরা লিখিত অভিযোগও জানান। টিভি নাইন বাংলার হাতে সেই অভিযোগ পত্রের প্রতিলিপি এসেছে। সেখানে অভিযোগ গৃহীত হওয়ার বিষয়টিও লেখা রয়েছে। যদিও এখনও অভিযোগ যাচাই করা হয়নি।

এদিকে এই ঘটনায় নির্মল মাজিকে টিভি নাইন বাংলার তরফে বার বার ফোন করা হলেও তা তিনি ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলে তা ‘রিড’ করলেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। যেহেতু এটা পুরোপুরি অভিযোগ, তাই তার সত্যতা আদৌ আছে কি না তা নিয়েই মেসেজ করা হয় নির্মল মাজিকে। যদিও তিনি মুখ খোলেননি।

এ প্রসঙ্গে প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স ফোরামের ডিএসও মৃদুল সরকার বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। চিকিৎসক নির্মল মাজির নাম সকলেই জানেন। তিনি শাসকদলের বিধায়ক। বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের উপর তিনি যে প্রভাব খাটান এটা সকলেরই জানা। এর আগে টসিলিজুমাবকাণ্ডেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যদি এই ঘটনা সত্যি হয় এর নিন্দার ভাষা নেই। সরকারের উচিৎ এ ধরনের ঘটনা যখ বার বার ঘটছে সেটা বন্ধ করার জন্য সচেষ্ট হওয়া।” আরও পড়ুন: উজ্জ্বল রংধনু বাংলার আকাশে, প্রথমবার রাজ্যের লিগাল প্যানেলে তৃতীয় লিঙ্গের আইনজীবী অঙ্কন বিশ্বাস

Next Article