‘মাঝ রাত থেকে ঘুরে অক্সিজেনের ব্যবস্থা হল, তবু বউটাকে বাঁচাতে পারলাম না’, হাসপাতালে কেঁদেই ফেললেন স্বামী

অক্সিজেন (Oxygen) সঙ্কটের চিত্রটা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। গড়িয়ার রেমেডির পর এবার বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ।

'মাঝ রাত থেকে ঘুরে অক্সিজেনের ব্যবস্থা হল, তবু বউটাকে বাঁচাতে পারলাম না', হাসপাতালে কেঁদেই ফেললেন স্বামী
Follow Us:
| Updated on: May 11, 2021 | 10:57 AM

কলকাতা: অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত এক মহিলার। বেহালার ওই বাসিন্দার নাম যমুনা নাথ। তিনি বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এমনকী যমুনাদেবীর স্বামী অক্সিজেনের খোঁজ পেলেও সিলিন্ডার দিতে পারেনি হাসপাতাল। তাই আর অক্সিজেন আনা হয়নি স্ত্রীর জন্য। চোখের সামনে ছটফটিয়ে প্রাণটাই চলে গেল শেষমেশ। যদিও হাসপাতালের দাবি, তাদের কাছে অক্সিজেন রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে ফ্লো মিটারের অভাবে।

আরও পড়ুন: হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, তুলকালাম নরেন্দ্রপুরে

অভিযোগ যমুনাদেবীকে সোমবার রাতে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চরম শ্বাসের কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না থাকায় একটি সিলিন্ডার থেকেই একাধিক রোগীকে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ পরিবারের। রাত বাড়তে সে ভাঁড়ারও ফাঁকা হয়ে যায়। যমুনাদেবীর স্বামী জানান, রাত ২টোয় ফোন করে হাসপাতাল থেকে বলে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে। হন্যে হয়ে গোটা শহর খুঁজেও তাঁরা তা পাননি। সকালে এক জায়গায় কথা হয়। তবে তারা সাফ জানিয়ে দেয়, সিলিন্ডার না আনলে অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব নয়।

যমুনাদেবীর এক আত্মীয়ের কথায়, “রাতভর অক্সিজেন খুঁজে পাইনি। আজ সকালে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যখন পেলাম, হাসপাতাল থেকে ফোন এল রোগী মারা গিয়েছে। কিছুক্ষণ আগে একটা খালি সিলিন্ডার চেয়েছিলাম হাসপাতালের কাছে। বললাম, খালিই দিন। ভর্তি করে দেবে একজন। দিল তো না-ই, উল্টে বলছে এর কাছে যান ওর কাছে যান। গোটা হাসপাতাল ঘুরে পেলাম না। শেষে সল্টলেকে গিয়ে একটা সিলিন্ডার পেয়েছিলাম। অত দূর থেকে আনার আগেই সব শেষ।”

বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের বক্তব্য, বিদ্যাসাগর হাসপাতালে অক্সিজেন আছে। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপরে লাগানোর জন্য যে ফ্লো মিটার থাকে যার বলে বোঝা যায় অক্সিজেনের মাত্রা কমছে না বাড়ছে সেই ফ্লোমিটার এই হাসপাতলে একটাই রয়েছে। সেই কারণে অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আরও ফ্লো মিটার মঙ্গলবারের মধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।