কলকাতা: উটকো গন্ধটা আগেই নাকে এসেছিল। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে গন্ধ আরও নাকে এসে ঠেকেছে। এরপর সন্দেহ হওয়ার দরুণ প্রতিবেশীরা খবর দেয় বাগুইআটি থানার। পুলিশ দরজা খুলতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। দেহটিকে ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বাগুইআটির অশ্বিনী নগরের ঘটনা। সেখানে দোতলার ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন চন্দ্রনাথবাবু। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হতে দেখে ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা খবর দেন বাগুইআটি থানায়। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় কাউন্সিলরকে।
জানা গিয়েছে, পুলিশ এসে প্রথমে দরজায় কড়া নাড়ে। পরে কেউ দরজা খুলছে না দেখে দরজা ভাঙে। তখনই দেখা যায় পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহটি। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দু’থেকে তিনদিন আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতদেহর পাশ থেকে প্রচুর মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি প্রচুর মদ্যপান করতেন।
ইতিমধ্যে দেহটি উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। খবর দেওয়া হয়েছে, মৃতের ভাইকে। তিনি আমেরিকায় থাকেন।
বস্তুত, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর নিজের বাবাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ঘটনার পরের দিন খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেফতার হন চন্দ্রনাথ। ওই ঘটনার পর থেকেই চন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী তাঁর সন্তানকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে যান।
আজ চার বছর পর মৃত্যু হল সেই ছেলের। ইতিমধ্যে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।