কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা এক মাস কেটে গেছে। এই এক মাসে পুরসভার তরফে লাগাতার প্রচার চলেছে। কিন্তু ছবিটা বদলেছে কি? রাজ্যজুড়ে দখল মুক্ত হয়েছে ফুটপাত? কী অবস্থা কলকাতার? রাজপথে পা রেখে চারপাশে তাকলে কিন্তু বদল খুব একটা চোখে পড়ছে না। এমনটাই বলছেন সিংহভাগ মানুষ। হাতিবাগান থেকে গড়িয়াহাট, যদুবাবুর বাজার থেকে ধর্মতলা, আগের ছবি বদলায়নি কোথাও। এদিকে ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করছেন তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ এসেছে আগেই। নবান্নে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত হকারদের জন্য আলাদা করে হকার জোন তৈরি করার কথা বলেছেন। তৈরি হয়েছে হাই পাওয়ার কমিটি।। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশের পর মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে হকারদের নথিপত্র সংগ্রহে তৎপরতা ছিল এই হাই পাওয়ার কমিটি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে এক মাস। কিন্তু এখনও বদলায়নি ফুটপাত দখলের ছবি।
অনেক জায়গা থেকেই অভিযোগ আসছে, প্রশাসন বললেও জায়গা ছাড়তে চাইছেন না হকাররা। অনেকেই বলছেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা যে জায়গায় ব্যবসা করেছেন সেখানেই তারা ব্যবসা করবেন। প্রয়োজনে জায়গা ছোট করে তাঁরা ব্যবসা করবেন। এদিকে সামনেই আবার পুজো। এই জটিলতার মধ্য়ে তাই তা নিয়েও চিন্তায় হকারদের একটা বড় অংশ। তাঁরা যদিও চাইছেন জটিলতা কেটে একটা সমাধানের রাস্তা দ্রুত বের হোক। চলতি মাসের শেষেই ফের নবান্নে বৈঠকের কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে তিনি কী বার্তা দেন সেটাও দেখার।
এদিকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কিছু কিছু ব্যবসায়ী। একজন তো বলছেন, “এখনও পর্যন্ত শুধু সার্ভে হয়েছে। আর কিছু কাজ হয়নি। হকার জোন তৈরির বিষয়ে কিছুই হয়নি। দিদি তো ২১ জুলাইয়য়ের জন্য ব্যস্ত ছিলেন। এখন দেখার ২৭ তারিখ কী হয়।”
শুধু কলকাতা নয়, একই ছবি কিন্তু জেলাতেও। কলকাতার মতোই বুলডোজার দিয়ে একাধিক অস্থায়ী দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া এমনকি পসরা বাজেয়াপ্ত করার পথেও হেঁটেছে বাঁকুড়া পুরসভা। তার জেরে বাঁকুড়ার বড়বাজার ও বাইপাস রাস্তার ফুটপাথ কিছুটা দখলমুক্ত হলেও বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা, লালবাজার, পোস্ট অফিস মোড় সহ বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাথ এখনো দখলদারদের দখলেই। ওই এলাকাগুলিতে ফুটপাথ জুড়ে হকাররা যেমন পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন তেমনই স্থায়ী দোকানগুলিও তাঁদের পসরা দোকান ছাড়িয়ে নামিয়ে রেখেছেন ফুটপাথে।