
কলকাতা: নবান্ন অভিযানে পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগ। মারধর করা হয় তাঁদের। সেই ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক। অভিযুক্তের নাম মানস সাহা। বস্তুত, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় এই নিয়ে দ্বিতীয় গ্রেফতার।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম মানস চন্দ্র সাহা। পঞ্চান্ন বছর বয়সী এই মানসের বাড়ি নৈহাটিতে। জানা যাচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই মানস সাহাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল বিজেপি কর্মী চন্দন গুপ্তা গ্রেফতার হয়েছিলেন এই ঘটনায়। তাঁকেও নিজের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ।
আদালতে কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, শনিবার যাঁরা নবান্ন অভিযানে এসেছিলেন, তাঁরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ইট জোগাড় এসেছিল। তাঁদের উদ্দেশ্যই ছিল পুলিশকে মারা।বস্তুত, গত মঙ্গলবার লালবাজার থেকে যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার মিরাজ খালিদ, যুগ্ম কমিশনার অপরাধ রুপেশ কুমার ও ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দ্রিরা মুখোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখান থেকে মিরাজ খালিদ এও বলেন, “পুলিশের তরফে বলা হয়, হয় সাঁতরাগাছি বা রানি-রাসমণিতে বিক্ষোভ দেখানো যেতে পারে। এটি প্রেস ব্রিফিং করেও বলা হয়।” তিনি আরও বলেন, “৯ তারিখ পুলিশ ছিল। ওখানে ৫০০ মত লোক ছিল। হঠাৎ করে রানি-রাসমণি না গিয়ে ডোরিনা গিয়ে সাউথের দিকে মিছিল যায়। সেই সময় পুলিশ বাধা দেয়। বলা হয় যে রুট তো ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পার্কস্ট্রিট দিকে যেতেই থাকে। কেউ কথা শোনেনি। পুলিশকে মারধর হয়েছে। ৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। ডিসির গার্ড গুরুতর আহত হয়েছেন। ৬ টি কেস রেকর্ড হয়েছে।”