Maheshtala Murder: লক্ষাধিক টাকা দিয়ে বোনের সন্তান-শাশুড়িকে খুন করিয়েছিলেন দাদা! মহেশতলা-খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Maheshtala Murder: গত ১২ মে জিনজিরা বাজারে খুন হন মায়া মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধা ও তাঁর নাতি সোনু মণ্ডল। বাড়িতে সেই সময় কেউ ছিলেন না।

Maheshtala Murder: লক্ষাধিক টাকা দিয়ে বোনের সন্তান-শাশুড়িকে খুন করিয়েছিলেন দাদা! মহেশতলা-খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই বাড়িতেই হয়েছিল খুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 7:20 PM

কলকাতা : ১২ বছরের ছেলে আর তার ঠাকুমার রক্তমাখা দেহ পড়েছিল মাটিতে। শিউরে ওঠার মতো সেই ঘটনা ঘটে গত ১২ মে। খুনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। কিন্তু সেই ঘটনার প্রায় ১৩ দিন পর সামনে এল আসল নতুন তথ্য। বাড়ির রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠলেও, আসলে ষড়যন্ত্র নাকি ছিল অন্য কারও! পুলিশের তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে, তার ওপর ভিত্তি করেই গ্রেফতার করা হল মৃত শিশুর মামাকে। অভিযোগ, সম্পত্তির লোভে বোনের ছেলেকে খুন করাতেও হাত কাঁপেনি তাঁর। শুক্রবার মহেশতলার জিনজিরা বাজার এলাকা থেকেই মহেশতলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে আশিস নস্কর নামে ওই ব্যক্তিকে। আদালতে তোলা হলে, পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

অভিযোগ, আশিস নস্কর রাজমিস্ত্রি ইউসুফ খানকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন খুন করার জন্যই। তাঁর কথা মতোই ইউসুফ খুন করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি হাতানোর জন্য খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে আরও অন্য কেউ রয়েছে কি, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

গত ১২ মে জিনজিরা বাজারে খুন হন মায়া মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধা ও তাঁর নাতি সোনু মণ্ডল। বাড়িতে সেই সময় কেউ ছিলেন না। পরে সোনুর গৃহশিক্ষক পৌঁছে প্রথম ওই দৃশ্য দেখতে পান। বৃদ্ধা ও কিশোরের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দেহের ময়নাতদন্তও করা হয়।

পরে ইউসুফ নামে ওই রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি। কাজের সূত্রে বাড়ি থেকে কে, কখন বেরোত, তার সবটাই জানা ছিল ওই রাজমিস্ত্রির। সেই মতোই রেইকি করেই খুন করেছিলেন তিনি। মোটা টাকার লোভে খুন করেছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, কে দিয়েছিল সেই টাকা? সেই তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়েই আশিসের কথা জানতে পারে পুলিশ।