
শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তীর রিপোর্ট
কলকাতা: পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেছেন, “পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল…তাই মৃদুচার্জ করতে হয়েছে।” তবে ছবি বলছে অন্য কথা। চাকরিহারারা বলছেন অন্য কথা। এক চাকরিহারা শিক্ষক সকলের সামনে জামা-কাপড় খুলতে বাধ্য হলেন। তাঁর পায়ের থাইয়ে লাল কালশিঠের দাগ। নিজের সারা শরীর দেখালেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। চিৎকার করে বললেন, “আমাদের কষ্টটা বুঝুন…।”
বুধবার কসবায় চাকরিহারাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। চাকরিহারা শিক্ষকদের লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়,লাঠি হাতে ফেলে নির্বিচারে পেটাতে দেখা যায় তাদের। এমনকী, টিভি ৯ বাংলাকে ছবি তুলতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও, রাজ্যের পুলিশ কমিশনার বলেছেন, “পুলিশের উপর প্রথম চড়াও হয়েছে। চার জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। দু’জন মহিলা পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন। আমাদের কাছে সেইসব ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে।” প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যসচিবের গলাতেও। মনোজ পন্থের বক্তব্য, “পুলিশ সিরিয়াসলি ইনজিওরড, বাধ্য হয়ে অ্যাকশন নিয়েছে।”
এই আবহের মধ্যেই দেখা গেল কসবায় দেখা গেল অভিষেক মাইতি নামে এক চাকরিহারা এক শিক্ষক আর্ত চিৎকার করছেন। জামা-কাপড় খুলে দেখাচ্ছেন কীভাবে পুলিশ মেরেছে তাঁকে। বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি… আমরা তো মরেই গিয়েছি… আমরা তো জীবন্ত লাস। আমরা পুলিশকে বিশ্বাস করি না…আমি জামা-কাপড় খুলে দেখাতে বাধ্য হলাম। বলতে চাইছি আমাদের ভিতরের কষ্টটা আপনারা বুঝুন…।”