কলকাতা: ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্য়ানেল বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা আমরা বোধ করছি না।’ তবে বহাল থাকল সোমা দাসের চাকরি। মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বহাল রেখেছে কোর্ট।
২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন সোমা দাস। তাঁর অভিযোগ ছিল নিয়োগের মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয় হাই কোর্টে। তার মধ্যেই ২০১৯ সালে ক্যানসার ধরা পড়েছিল তাঁর। সেই বছর ফেব্রুয়ারি থেকে ব্লাড ক্যানসারে ভুগছেন বীরভূমের নলহাটির মেয়ে সোমা। তবে লড়াই ছেড়ে দেননি তিনি। চাকরির দাবিতে রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অসুস্থ সোমা দিনের পর দিন কলকাতার রাজপথে ধরনায় সামিল হয়েছেন।
এরপর দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল হয়। তবে মানবিক কারণে বহাল ছিল সোমার চাকরি। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ-আদালতে মামলা হয়। তবে হাইকোর্টের রায়কে বজায় রাখল উচ্চ-আদালত। শুধু মানবিক কারণে বজায় রইল সোমা দাসের চাকরি। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “আমি শুনেছি সোমা দাস চাকরি করবেন।” সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে, সোমা ছাড়া বাকি কোনও প্রতিবন্ধীদের কোন বাড়তি সুবিধা নয়। তারাও পরীক্ষা দেবেন।