Suvendu Adhikari: বিধানসভায় সাসপেন্ড শুভেন্দু অধিকারী

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 28, 2023 | 9:18 PM

Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "বিজেপির যা কাজ আমরা তাই করেছি। ওদের ১৭০-৮০-৯০টা লোক চোর চোর শুনেছে। তৃণমূল মানেই চোর। শুনেছে এবং মাথা নিচু করে বিজেপির বিধায়কদের সামনে দিয়ে গিয়েছে। বিধানসভার ভিতরে, বাইরে, গেটে, ,সামনে, পিছনে সর্বত্র চোর শুনতে হচ্ছে।"

Suvendu Adhikari: বিধানসভায় সাসপেন্ড শুভেন্দু অধিকারী
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Image Credit source: TV9Bangla

Follow Us

কলকাতা: বিধানসভার চলতি অধিবেশন থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এই অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও গত বছর মার্চে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। অন্যদিকে বিধানসভা সচিবের ঘরে ডেপুটেশন জমা দেয় বিজেপি পরিষদীয় দল। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে সচিব সুকুমার রায়ের কাছে আবেদন জমা দেন।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা বিজেপির সদস্যরা যেখানে স্পিকারের কাছ থেকে সংবিধানের প্রোটেকশন পাচ্ছি না, সেখানে সংবিধান দিবসে মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে লাভ নেই। আমরা ভিতরেও বলেছি, এই হাউজ সংবিধানের পরিপন্থী কাজ করছে।”

মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ যখন সংবিধান দিবসের উপর আলোচনা করছিলেন, সে সময় দলত্যাগের প্রসঙ্গ সামনে আনেন। এরপরই অধ্যক্ষ শঙ্কর ঘোষের বক্তব্যকে ‘এক্সপাঞ্জ’ করেন অর্থাৎ বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ পড়ে।

এরপরই শুভেন্দু অধিকারী সরব হন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, এটা ‘এক্সপাঞ্জ’ করার মতো বক্তব্য নয়। যদি এ বক্তব্য ‘এক্সপাঞ্জ’ করা হয়, তাহলে তাঁরা অধিবেশনে সংবিধান দিবস নিয়ে যে ২ ঘণ্টা আলোচনা চলছে, সেখানে অংশ নেবেন না। প্রতিবাদ জানিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

এদিকে শুভেন্দু অধিবেশন কক্ষে থাকাকালীনই অধ্যক্ষ জানান, ‘শুভেন্দুবাবু আপনি ঠিক আচরণ করছেন না। আপনাকে সতর্ক করছি। নিয়ম অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এরপরই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে শাসকদলের উপমুখ্যসচেতক তাপস রায় একটি মোশন আনেন। বলেন, ‘যাঁরা কোনওদিন সংবিধান হাতেই ধরেননি তাঁরা সংবিধান বুঝবেন কী করে?’ তিনি প্রস্তাব করেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হোক। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে এই অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিজেপির যা কাজ আমরা তাই করেছি। ওদের ১৭০-৮০-৯০টা লোক চোর চোর শুনেছে। তৃণমূল মানেই চোর। শুনেছে এবং মাথা নিচু করে বিজেপির বিধায়কদের সামনে দিয়ে গিয়েছে। বিধানসভার ভিতরে, বাইরে, গেটে, ,সামনে, পিছনে সর্বত্র চোর শুনতে হচ্ছে।”

যদিও অধিবেশন কক্ষের বাইরে এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা একদম অবাঞ্ছিত ঘটনা। রাস্তায় গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে যে চিৎকার করা যায়, সেটা যে বিধানসভায় করা যায় না এই বোধটা থাকা দরকার। একদিকে সংবিধানের কথা বলবেন, অন্যদিকে সংবিধান অবমাননা করবেন এটা ঠিক নয়।”

Next Article