
কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আমরা ৩৯ শতাংশ আছি, আর ৫-৬ শতাংশ হিন্দুরা একজোট হলেই ক্ষমতায় আসা সম্ভব। শমীক বললেন, “বিজেপির লড়াই সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়। আমরা লড়ছি, আপনাদের জন্য। আমরা চাই আপনাদের বাড়ির ছেলেদের হাত থেকে পাথর কেড়ে বই দিতে। যারা তলোয়ার নিয়েছে, তাদের হাতে কলম ধরিয়ে দিতে চাই। এটাই বিজেপির লড়াই। এটা করে দেখাবে।”
তবে কী শেষ পর্যন্ত লাইন বদলে এবার বহুত্ববাদের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি? সভাপতিত্ব গ্রহণের একদিনের মাথায় পুরো কথার ব্যাখ্যাও করলেন বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি। তাঁর সাফ কথা, “আমি বলছি যদি মুসলিমরা ভেবে থাকেন তাঁদের ভোট ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন করা যাবে না, তৃণমূলের বিসর্জন হবে না, তাহলে তাঁরা ভুল ভাবছেন।” তাহলে হঠাৎ কাল ওই কথা বলতে গেলেন কেন?
টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে শমীক বললেন, “আমাদের লড়াই ধর্মান্ত ইসলামিক ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে ইন্দিরা গান্ধী নামাঙ্কিত যে লাইব্রেরিতে আগুন লাগিয়েছিল সেখানে ৭০ হাজার বই ছিল। ওর মধ্যে আবুল বাসার, নজরুলের বই ছিল। সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের বই ছেলে।” ঠিক পরেই অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের পুব-পশ্চিম কবিতার কয়েক পঙতি মুখে এনে বলে উঠলেন, “তোমরা আমার বটের ঝুড়িতে সুতো বাঁধো আমি তোমাদের পীরের দরগায় চিরাগ জ্বালি। আমরা ভাষায় এক ভালোবাসায় এক মানবতায় এক বিনা সুতোয় রাখীবন্ধনের কারিগর। এই পরিস্থিতি তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।”