কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। শুক্রবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁরা রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের পর নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “মোট ১৯ জন মারা গিয়েছেন। বেশির ভাগই আমাদের লোক মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের ১ জনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি আমরা দেব।” ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছিলেন মমতা।
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “৪৫ প্লাস চার, ৪৯ জনের মৃত্যু তো স্বীকারই করেননি। ১৯ জন স্বীকার করেছেন। আমার মনে হয় এই ১৯ জনের তালিকাও তৃণমূল করে দেবে। কারণ তৃণমূলের কিছু লোকজন মারপিট করতে এসে মারা গিয়েছেন। এই তালিকাতেও দলবাজি হবে। তৃণমূলের লোকজনকেই ২ লাখ টাকা, অস্থায়ী হোমগার্ডের ১২ হাজার টাকার মাইনের চাকরি দেবেন।”
গত পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। দক্ষিণ ২৪ ভাঙড় থেকে কোচবিহার কিংবা মুর্শিদাবাদ, ভোট হিংসায় প্রাণবলিও দেখেছে রাজ্যবাসী। ৮ জুলাই ছিল ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১৫ জুন থেকে মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়। ১১ জুলাই ভোটের গণনা হয়। ভোট ঘোষণার পর থেকে প্রায় এক মাস ধরে উত্তপ্ত থেকেছে বাংলা, ঝরেছে রক্ত। পঞ্চায়েতে নিহতদের পরিবারকে রাজনৈতিক রং না দেখেই চাকরি দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় তা পাশ করল।