কলকাতা: নিয়োগকাণ্ডে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। সিবিআই এদিন আবারও দাবি করে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি একটি ‘পরিকল্পিত অপরাধ’। তাতে পার্থর ভূমিকা নিয়েও জোরাল প্রশ্ন ওঠে আদালতকক্ষে। সেসময় বিচারককে এসএসসি আইন বোঝানো শুরু করেন পার্থ। কীভাবে এই আইনবলে নিয়োগ করা হয়, তা আদালতে তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আইন পড়ে কথা বলুক, বলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন সিবিআই বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘স্যর স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেকশন ৩ ধারা এবং ফোর-এ, ফোর-বিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে কীভাবে বোর্ডের সদস্যদের নিয়োগ করা হয়। তারাই ঠিক করে, পরবর্তীকালে যে সমস্ত সেকশনগুলো আছে যেমন ডিউটিজ অব সিলেকশন কমিশন, ডিউটিজ অব রিজিওনাল কমিশন ও সেন্ট্রাল কমিশন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এটা রিজিওনাল কমিশন কাজ করত। তারপর সেই ধারা পরিবর্তন হয়ে ২০১৬ সালে স্টেট লেভেল কমিশন বা SLST হয়। এর আগে ছিল RLST। সেন্ট্রাল কমিশনের আবার কাজ বিজ্ঞাপন দেওয়া।’
পার্থ বলেন, নিয়ম হচ্ছে ইন্টারভিউ লিস্ট, মেরিট লিস্ট ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। রিজিওনাল কমিশন সিলেকশন করার পর ডিআই ও স্কুল কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিচারককে পার্থ বলেন, ‘আমি আপনার কাছে আবার বিনীতভাবে বলতে চাই, বিনীতভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বলতে চাই আইনগুলো একটু ভাল করে পড়তে হবে। দুম করে মন্ত্রীকে ধরে নিয়ে আসল। মন্ত্রী এখানে কোনও অংশে নেই। মুখ্যমন্ত্রী নেই, মন্ত্রী নেই। এরা কেউ এক্সিকিউটিভ ফাংশন করে না। এরা পলিসি মেকার্স।’ পলিসি তৈরির জন্য বিভাগীয় মন্ত্রী প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপর ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়।