নয়া দিল্লি: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এখনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদনের শুনানি হচ্ছে না সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু জানা যাচ্ছে, তাঁর আবেদনে পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদন গৃহীত হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই আবেদনের ভিত্তিতে দ্রুত শুনানির সম্ভাবনাও কম। জানা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের আবেদন ক্রটিমুক্ত করে সংশোধিত আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মের অবসরকালীন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সপ্তাহে এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। তিনি এও বলেছিলেন, প্রয়োজনে সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু আবেদন ক্রটিপূর্ণ এই কারণ দর্শিয়ে একক বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে সিঙ্গল বেঞ্চ। এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন পার্থ। কিন্তু এক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে দেশের শীর্ষ আদালতেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মামলার দ্রুত শুনানি হচ্ছে না।
এদিকে, বুধবারই সিবিআই দফতরে সিবিআই-এর মুখোমুখি হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১৫ তলায় দুর্নীতিদমন শাখার দফতরে তাঁকে এই দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের পনেরো মিনিট আগেই বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটেই তিনি পৌঁছে যান সিবিআই দফতরে।
সূত্রের খবর, কেবল গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা নয়, সাম্প্রতিকতম ইস্যু মন্ত্রীকন্যার চাকরি সংক্রান্ত যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়টিও তিনি জানতেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে আদতে ‘মানি ট্রেলের’ ব্যাপার রয়েছে কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ দূর করতে তৎপর তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে দিল্লির আধিকারিকরাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই সিবিআই-এর জেরার মুখোমুখি হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, উপদেষ্টা কমিটি তিনি গঠন করলেও, এই কমিটি তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল না। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়েও তিনি বিশেষ ওয়াকিবহাল নন। কিন্তু সূত্রের খবর, পার্থর উত্তর সন্তোষজনক লাগেনি তদন্তকারীদের কাছে। তাই এদিন ফের তাঁকে তলব।