
কলকাতা: সাপুরজি আবাসনের ই ব্লকের দোতলা। মঙ্গলবার সকাল সেই ঘর থেকেই উদ্ধার হল দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের ছেলে প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয়। সোমবার রাতেও প্রতিবেশীরা তাঁকে দেখেছেন। মঙ্গলবার সকালেও তাঁরা দেখেন। তবে ঘরের বিছানায় তাঁর শায়িত দেহ। জানা যাচ্ছে, রিঙ্কুর বাড়িতে একটা পার্টি ছিল। বেশ কয়েকজন এসেছিলেন।
প্রতিবেশীরা ঠিক কী দেখেছিলেন?
সোমবার সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়েই অফিস থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন পেশায় আইটি কর্মী সৃঞ্জয়। রাতের দিকে, তাঁর ঘরে বেশ কয়েকজন এসেছিলেন। তাঁর ঘরে বেশ কয়েকজনকে দেখতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা একটু রাতের দিকে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তারপরই সকালে এই ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে পুলিশ জানতে পেরেছে, সৃঞ্জয়ের মোবাইল ছিল বালিশের পাশে। বাঁ পাশ থেকে বেশ কিছু ওষুধও উদ্ধার হয়। প্রীতম ড্রাগ অ্যাডিক্টেড ছিলেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মোবাইল ফোন ঘেঁটে জানার চেষ্টা চলছে, শেষ কার সঙ্গে কথা? শরীরের বাঁ দিকে আঁচড়ের দাগ পেয়েছেন চিকিৎসকরা।
পারিবারিক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের। সোমবার রাতেও রিঙ্কু মজুমদারের দূঃসম্পর্কের মামার সঙ্গে কথা হয়। রাত ১১টা নাগাদ শেষ বার ফোনে কথা হয়েছিল। আজ সকাল ৮টায় পরিবারের সঙ্গেই বেরোনোর কথা ছিল সৃঞ্জয়ের। পারিবারিক সূত্রের খবর, অফিস থেকে ২ দিনের জন্য আগাম ছুটিও নিয়ে রেখেছিলেন রিঙ্কুর ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে দেহ উদ্ধারের পর প্রথমে নিউটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে, পরে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সৃঞ্জয়কে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হয়।