Flat construction: ৩০০ স্কোয়ারফুটের উপরেই চারতলা ফ্ল্যাট, তার ওপর আবার টাওয়ার! বিধাননগরে ফুঁসছেন প্রতিবেশীরা
Flat construction: বিধান নগর পুর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাবটতলার ঘটনা। এলাকায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে, নির্মাণগুলো যেন আলিঙ্গনরত। বিল্ডিংগুলো একে অপরের গায়ে সেঁটে দাঁড়িয়ে। নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও প্ল্যান নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিধান নগর: কোথাও দুই ফ্ল্যাটের দেওয়ালের মাঝে ফাঁক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, কোথাও আবার দোতলা ভিতের ওপরেই মাথা তুলেছে ৪-৫ তলা বাড়ি। গার্ডেনিরিচের মর্মান্তিক ঘটনার পর সামনে আসছে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযোগ উঠছে বেআইনি নির্মাণের। এবার প্রতিবাদে কার্যত রাস্তায় নেমেছেন বিধাননগরের হেলাবটতলার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, খুব ছোট জায়গার ওপরেই তৈরি করা হয়েছে বড় বিল্ডিং। প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, সেই বিল্ডিং-এর ওপর আবার তৈরি হচ্ছে মোবাইল টাওয়ার। এরপরই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
বিধান নগর পুর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাবটতলার ঘটনা। এলাকায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে, নির্মাণগুলো যেন আলিঙ্গনরত। বিল্ডিংগুলো একে অপরের গায়ে সেঁটে দাঁড়িয়ে। নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও প্ল্যান নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, প্রশাসনকে জানিয়েছি। ওরা এসে দেখেও গিয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। কাউন্সিলর বলছে আমি জানি না। আজ ফের সংস্থা থেকে লোক এসে টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু করেছে। হাফ কাটাও জায়গা নেই।
ওই এলাকায় দুটি বাড়ির মাঝে কোথাও এক ফুট, কোথাও দু ফুট, কোথাও সর্বাধিক তিন ফুট ছাড়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিধান নগর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গীতা সরকারের স্বামী মৃণাল সর্দার এই প্রসঙ্গে বলেন, পুরসভা ব্যবস্থা নিচ্ছে। আইনত যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। অবৈধ কাজ করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
অন্যদিকে, বিধাননগর পুরনিগমের কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “আমি আসার পর যে সব অভিযোগ আসছে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা লোক পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা কোনও প্রাণহানি চাই না।”