Kolkata: বিতর্কের মুখে কলকাতা পুরসভার বাতিস্তম্ভগুলিতে প্লাস্টিকের চাদর, খোলাই রইল CESC-র

CESC: প্রায় তিন লক্ষ নিজস্ব বাতিস্তম্ভের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বাতিস্তম্ভ আবরণ দিয়ে মুড়ে ফেলার কাজ ইতিমধ্যে কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে ফলে পৌরসভা সূত্রে খবর। তথ্য বলছে, শহরে প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার বাতিস্তম্ভ রয়েছে।

Kolkata: বিতর্কের মুখে কলকাতা পুরসভার বাতিস্তম্ভগুলিতে প্লাস্টিকের চাদর, খোলাই রইল CESC-র
এই উদ্যোগে কী বলছে বিজেপি?Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 15, 2025 | 2:40 PM

কলকাতা: ঠেকায় পড়ে শিক্ষা কলকাতা পুরসভার? বিতর্ক থেকে বাঁচতে এবার শহরের বাতিস্তম্ভগুলিতে প্লাস্টিক পাইপের আবরণ দিল প্রশাসন। জল জমলেই কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। পুজোর মুখে ভয়ঙ্কর ছবি দেখেছিল গোটা শহর। কলকাতা পৌরসভায় মাত্র সাত থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আর তাতেই দেখা যায় মৃত্যু মিছিল। সিংহভাগ মৃত্যু বিদ্যুৎপৃষ্ট জেরে বলে জানা যায়। তা নিয়ে ব্যাপক চাপানউতোর হয় রাজনৈতিক মহলে। প্রশাসনিক মহলেও চলে দায় ঠেলাঠেলি। বাতিস্তম্ভগুলি কার? কলকাতা পুরসভার নাকি সিইএসসির? তা নিয়েও বিতর্ক দানা বাঁধে। সিইএসসির ভূমিকা নিয়ে সরব হন খোদ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরইমধ্যে এবার কলকাতা পুরসভার নিজস্ব বাতিস্তম্ভগুলিকে মোটা প্লাস্টিকের আবরণের পাইপ দিয়ে মুড়ে দেওয়ার ছবি দেখা গেল। 

প্রায় তিন লক্ষ নিজস্ব বাতিস্তম্ভের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বাতিস্তম্ভ আবরণ দিয়ে মুড়ে ফেলার কাজ ইতিমধ্যে কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে ফলে পৌরসভা সূত্রে খবর। তথ্য বলছে, শহরে প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার বাতিস্তম্ভ রয়েছে। যার মধ্যে কলকাতা পুরসভারই প্রায় ২ লক্ষ ৯০ হাজারের কাছাকাছি। বাকিগুলি সিইএসসির। এদিকে শহরের বাতিস্তম্ভ গুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাব যে রয়েছে তা কার্যত স্পষ্ট। যত্রতত্র থেকে বেরিয়ে রয়েছে ছেঁড়া তার। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সেগুলি মেরামত যথেষ্টই ব্যয়বহুল। 

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিতর্ক থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত নতুন পন্থার পথে হাঁটল কলকাতা পুরসভা। এদিকে পুরসভার বাতিস্তম্ভগুলিতে আবরণ দেখা গেলেও সিইএসই-র বাতিস্তম্ভগুলিতে বৈপরীত্যের ছবিই দেখা গেল। সেগুলিতে দেখা গেল না কোনও আবরণ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিপর্যয়ের সময় নাগরিকরা কি আদৌও বাছাই করতে পারবেন কোনটা সিইএসসির এবং কোনটা কলকাতা পৌরসভার বাতিস্তম্ভ? জমা জলে শর্ট সার্কিট হয়ে থাকা বাতিস্তম্ভ ছুঁলেই বিপদ। একই রাস্তার উপরে একটিতে আবরণ দেওয়া হল এবং অন্যটি খোলাই রই, তাহলে বিপদমুক্ত হল কী করে? প্রশ্ন তুলছেন অনেক নাগরিকই। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলছেন, “ঠেকে শেখার কোনও জায়গা নেই। এত মানুষের অভিযোগ এসেছে যে তার ফলে নাস্তানাবুদ হয়ে এসব করছে। আর প্লাস্টিকের কভারের আয়ু কতক্ষণ? লোহার গায়ে ওগুলো টিকে থাকবে কী করে?”