
নয়াদিল্লি: পাকিস্তান নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বরাবরের। সীমান্তে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগে পড়শি দেশকে বারংবার ব্যাকফুটেও ফেলেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু কালের ‘বেনিয়মে’ যেন উদ্বেগের তালিকায় এখন জুড়ে গিয়েছে বাংলাদেশও। যা ভাবাচ্ছে দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের। ভাবিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও।
সমস্যা যখন রয়েছে সমাধান সূত্রও খোঁজা প্রয়োজন। আর সেই কথা মাথায় রেখেই কলকাতায় আসতে চলেছেন মোদী। দেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিয়ে সেনার উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই এই বৈঠকের আয়োজন হতে চলেছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডরা। থাকবেন সেনার অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্তারাও। তবে এই বৈঠক নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি নয়াদিল্লি।
কেন কলকাতায় বৈঠক?
স্বাভাবিক ভাবে সেনা বৈঠক মানে তা আয়োজিত হয়ে থাকে নয়াদিল্লিতে। আর সেই বৈঠক যখন উচ্চ পর্যায়ের, তখন তো রাজধানী ছাড়া কোনও কথাই নেই। তা হলে এবার কী হল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সর্ববৃহৎ কমান্ড এই পূর্বাঞ্চল বা ইস্টার্ন জোন। যার মধ্য়ে চিকেনস নেক-সহ রয়েছে দীর্ঘ বাংলাদেশ সীমান্ত। চিনের সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ সীমানা। সুতরাং, এই এলাকা যে দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় একটু বেশিই সংবেদনশীল তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় আয়োজিত সম্ভাব্য বৈঠকে সেনাকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সীমান্তে নিরাপত্তা কতটা, আর কতটা প্রয়োজন? কী কী আর্টিলারি মোতায়েন করা প্রয়োজন? সব নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে।
এখনই কেন আলোচনা প্রয়োজন?
বাংলাদেশে শাসক পরিবর্তন। মায়ানমারে সেনাশাসন। সব মিলিয়ে বাংলা-সহ উত্তর-পূর্বের বেশ কিছু অঞ্চল অনুপ্রবেশকারীদের কাছে হয়ে উঠেছে ট্রানজিট রুট। আর মাথার উপরেই রয়েছে চিন। বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন অনেকটা বদলালেও, অরুণাচল প্রদেশের থেকে যে তাদের নজর ঘোরানো গিয়েছে, এমনটা নয়। সুতরাং, সীমান্তকে আরও মজবুত করাই এখন লক্ষ্য নয়াদিল্লির। আর সেই উদ্দেশ্য সাধনেই সরাসরি সেনা কমান্ডরদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন মোদী।