Tender Fraud: ২৬ কোটির প্রতারণার অভিযোগ, টেন্ডার নথি জাল করে কীভাবে চলত লোক ঠকানো কারবার?

Kolkata Fraud Case: জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের থেকে যে সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল, সেই সংস্থার হিসেব রক্ষক হিসেবে কাজ করত স্বরূপ ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই টেন্ডারের নথি জাল করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ওই ব্যক্তি।

Tender Fraud: ২৬ কোটির প্রতারণার অভিযোগ, টেন্ডার নথি জাল করে কীভাবে চলত লোক ঠকানো কারবার?
অভিযুক্ত স্বরূপ ঘোষ

| Edited By: Soumya Saha

Oct 19, 2022 | 11:07 PM

কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরের টেন্ডারের (Health Department Tender) নথি জাল করে প্রতারণার অভিযোগে আনন্দপুর এলাকা থাকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ (Bidhannagar Police)। ধৃত ব্যক্তির নাম স্বরূপ ঘোষ। বাড়ি আনন্দপুর থানা এলাকাতেই। এদিন সন্ধেয় আনন্দপুরের বাড়ি থেকেই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বোধাদিত্য চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনার এবার আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিই টেন্ডার নথি জালের ঘটনায় মূল কিংপিন। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের টেন্ডার সংক্রান্ত নথি জাল করে ২৬ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এই স্বরূপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের থেকে যে সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল, সেই সংস্থার হিসেব রক্ষক হিসেবে কাজ করত স্বরূপ ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই টেন্ডারের নথি জাল করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ওই ব্যক্তি। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সোমবার পার্কস্ট্রিট থানা এলাকা থেকে বোধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সই জাল করে এবং স্ট্যাম্প জাল করে এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল অভিযুক্তরা। তবে এই গোটা ঘটনার আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে চাইছেন আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকার প্রতারণার কারবার চালাত এই অভিযুক্তরা।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, সেই সব ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযুক্ত বোধাদিত্যকে ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এবার ঘটনার মূল অভিযুক্ত স্বরূপ ঘোষকে জেরা করে এই প্রতারণা চক্রের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য হাতে পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। মূলত কোথায় কোথায় কত মানুষ এই প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন, সেই সবের উত্তর খুঁজছেন পুলিশকর্মীরা।