কলকাতা : দুই সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া রুপম বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনটি ছিল ১৮ জুন। উত্তর দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরা নগর থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর অনেক খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারপরও কোনও লাভ হয়নি। পরে রুপমের মোবাইলও সুইচড অফ হয়ে গিয়েছিল। শেষে বিমানবন্দর থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরিবারের দাবি, পুলিশের কাছে যাবতীয় তথ্য ও ছবিও দিয়ে আসা হয়েছিল। এমনকী লালবাজারেও যাওয়া হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। এরপর ২০ জুন বাবুঘাটের কাছে গঙ্গা থাকে উদ্ধার করা হয় রুপমের দেয়। কিন্তু তারপরও দীর্ঘ ১২ দিন বাদে দেহ শনাক্ত করতে রুপমের পরিবারকে ডাকা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
মৃত যুবকের পরিবারের বক্তব্য, পুলিশ নিজের মতো করে তদন্ত করছে ঠিকই। এমনকী রুপমের বন্ধুদেরও প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও পুলিশের তরফে খামতি ছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকেরা। পুলিশের কাছে মৃতের নাম, ছবি সহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে আসার পরেও কেন ২০ জুন দেহ উদ্ধারের পর শনাক্তকরণের জন্য এতদিন পরে ডাকা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুপমের পরিবারের লোকেরা।
১৮ জুন সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রুপম। এরপর রাত ৮ টা নাগাদ তাঁর মা ফোন করেছিলেন। রাত্রে কী খাবে, তা জানতে চেয়েছিলেন। রুপম বলেছিল, কিছু খাবে না। পরিবারের সঙ্গে ওটাও ছিল শেষ কথা। তারপর থেকে আর কোনও কথা হয়নি। আরও একটু রাতের দিকে ফোনও সুইচড অফ হয়ে যায়। এরপর পুলিশের তরফে দফায় দফায় রুপমের বেশ কিছু বন্ধুকে ডেকে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। যাঁদের বক্তব্যে অমিল দেখা গিয়েছে, তাঁদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু ২০ জুন দেহ উদ্ধারের পর কেন এতদিন কেটে যাওয়ার পর পুলিশের তরফে জানানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। তবে পরিবারের এই অভিযোগ নিয়ে, পুলিশ তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।