
কলকাতা: একদিনের জেল হেফাজতে ‘কোটিপতি কনস্টেবল’ মনোজিৎ বাগীশ। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে এমনই নির্দেশ দেন বিচারক। শুক্রবার ফের বিশেষ আদালতে তোলা হবে তাঁকে। রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তে এই কনস্টেবল সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি, ফিক্সড ডিপোজিট, বান্ধবীর জন্য দামী উপহার, জীবন বিমায় লাখ লাখ টাকার পলিসি।
সূত্রের খবর, কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের যে ৯ লক্ষ টাকার জীবন বিমা পলিসির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির নমিনি ছিলেন তাঁর বাবা। তাঁর বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্ত শুরু হওয়ার খবর পেতেই পলিসি ম্যাচিওর হওয়ার আগেই টাকা তুলে নেওয়া হয়। তদন্তকারী শাখা সূত্রে খবর, ৭৩ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল স্ত্রীর নামে।
এমনকী বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে যে ২১ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন, তাও মনোজিত নিজেই ডিপোজিট করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ভিজিল্যান্স তদন্ত শুরু হতেই সেই টাকা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠিয়ে নগদ তুলে নিয়েছিলেন বলে খবর। বান্ধবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও দেখভাল করতেন মনোজিৎই। ২০১৫ সালের আগে মনোজিতের ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। তবে এখনও খোঁজ নেই সেই বান্ধবীর।
বীরভূমের রামপুরহাট থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয় কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশকে। অন্যায়ভাবে তিনি প্রচুর টাকা রোজগার করতেন বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। আপাতত রামপুরহাট থানায় কর্মরত ছিলেন মনোজিৎ। তবে একটা সময় হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটেও ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে মনোজিতের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ আসে। এরপর থেকেই নজরদারি চলছিল।