AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Child Trafficking: বিয়ের ১৫ বছর পরও নিঃসন্তান, শাশুড়ির অত্যাচারেই শিশু কেনার ছক! উঠছে IVF সেন্টারের যোগও

Kolkata Crime news: একরত্তি শিশু বিক্রির অভিযোগে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। উঠে আসছে আইভিএফ সেন্টার যোগের তত্ত্ব।

Child Trafficking: বিয়ের ১৫ বছর পরও নিঃসন্তান, শাশুড়ির অত্যাচারেই শিশু কেনার ছক! উঠছে IVF সেন্টারের যোগও
শিশু বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার Image Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2023 | 7:51 PM
Share

কলকাতা: দিন কয়েক আগে পানিহাটিতে শিশু বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল এক মায়ের বিরুদ্ধে। আর এবার খাস কলকাতায় এক দুধের শিশুকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। আনন্দপুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা নিজের ২১ দিনের ছোট্ট মেয়েকে চার লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত মা ও যাঁর কাছে বিক্রি করা হয়েছে সেই মহিলা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের ৩ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছে টিভি নাইন বাংলায়। আর এবার ওই একরত্তি শিশু বিক্রির অভিযোগে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। উঠে আসছে আইভিএফ সেন্টারের যোগের তত্ত্ব।

কল্যাণী গুহ নামে যে মহিলা ওই শিশুকে কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠছে, সেই মহিলা বিভিন্ন আইভিএফ সেন্টারে ঘুরে ঘুরে বাচ্চার খোঁজ করছিলেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সেই সময়েই লাল্টি দে নামে এক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হল কল্যাণী গুহর। লাল্টি বেহালার চৌরাস্তার কাছে এক আইভিএফ সেন্টারে কাজ করতেন। সূত্রের খবর, লাল্টি দে’র থেকে কল্যাণী জানতে পারেন পয়সা দিলেই বাচ্চা পাওয়া যাবে। তারপর লাল্টির মাধ্যমেই যোগাযোগ হয় বিক্রি হওয়া সন্তানের মা রূপালি মণ্ডলের সঙ্গে। সূত্রের খবর, রূপালির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল সন্তান প্রসবের পর কল্যাণীর কাছে বেচে দেওয়া হবে সদ্যোজাত সন্তানকে।

এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত খবর, অভিযুক্ত কল্যাণী গুহ পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, বিয়ের ১৫ বছর পরও তাঁর সন্তান হচ্ছিল না। এই নিয়ে শাশুড়ির অবিরাম অত্যাচার চলত বলে দাবি কল্যাণীর। সেই কারণে কল্যাণী ও তাঁর স্বামী বাচ্চা কেনার পরিকল্পনা করে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। একরত্তি ওই শিশুর মা রূপালি মণ্ডল আয়ার কাজ করতেন বলে জানা যাচ্ছে। আনন্দপুরের এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও শিশু বিক্রি চক্র জড়িত রয়েছে কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।