
কলকাতা: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদ। পুলিশ বলছে, আগের থেকে অবস্থা অনেক ভাল। পুলিশের সঙ্গে এখনও টহল দিচ্ছে আধা সেনা, বিএসএফ। গত ১২ এপ্রিল ধুলিয়ানে যখন অশান্তি চলছিল, তখন জাফরাবাদে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এ কেসে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠিত হয়েছে। সিটে স্থানীয় পুলিশ, জেলা পুলিশের পাশাপাশি CID, STF এবং IB-র অভিজ্ঞ অফিসাররা থাকছেন। এমনটাই খবর রাজ্য পুলিশ সূত্রে।
জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে ইতিমধ্যেই তাঁরা ঘটনায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁরা প্রত্যক্ষভাবে ওই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশের দাবি। তাঁদের মধ্যে কালু নাদাব এবং দিলদার নাবাবকে গ্রেফথার করা হয়েছে। তাঁরা সম্পর্কে ভাই।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিলদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে সুতি থানা এলাকার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে। অন্যদিকে কালুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের মুরারই থেকে। এদিই তাঁদের আদালতে পেশ করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে গুজবের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে তাঁদের তরফে কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১০৯৩টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লকও করা হয়েছে।