AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Baguiati: রিয়ার ‘বডি’ নিয়েই সেদিন বাগুইআটির অলি-গলিতে হাঁটছিল কৌশিক, দুই সন্তানের মা রাত কাটান তারই ফ্ল্যাটে!

Baguiati: জানা গিয়েছে, যে দিন দেহ পাওয়া যায়, তার প্রায় ১৫-১৬ দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যান রিয়া ধর। নিখোঁজ ডায়েরি করেন রিয়ার স্বামী। পরে থানায় অপহরণের মামলা রুজু হয়।

Baguiati: রিয়ার 'বডি' নিয়েই সেদিন বাগুইআটির অলি-গলিতে হাঁটছিল কৌশিক, দুই সন্তানের মা রাত কাটান তারই ফ্ল্যাটে!
রিয়া ধরের দেহই মিলেছিল বাগুইআটিতেImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2025 | 3:51 PM
Share

কলকাতা: গত মঙ্গলবার বাগুইআটির রাস্তায় দেখা যায় হাড়হিম করা ছবি। আবর্জনার মাঝে পড়ে আস্ত ট্রলি ব্যাগ। সেটি খুলতেই বেরিয়ে আসে এক তরুণীর লাশ। কে এই তরুণী? কোথা থেকে এল তাঁর দেহ? বাগুইআটি অঞ্চলের সব সিসিটিভি-র ফুটেজ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করছিল পুলিশ। অবশেষে কিণারা হল সেই ঘটনার। সামনে এল একের পর এক তথ্য। যখন পুলিশ অপরাধীকে চিহ্নিত করে ফেলেছে, ততক্ষণে অন্য় থানায় গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত।

পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত তরুণীর নাম রিয়া ধর। তিনি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা। ন’বছর আগে বেলডাঙার বেগুনবাড়ির রিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় নবগ্রামের অমিত ধরের। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাঁরই দেহ ওই ট্রলি ব্যাগো ঢোকানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বারাসতের বাসিন্দা কৌশিক প্রামাণিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়।

জানা গিয়েছে, যে দিন দেহ পাওয়া যায়, তার প্রায় ১৫-১৬ দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যান রিয়া ধর। নিখোঁজ ডায়েরি করেন রিয়ার স্বামী। পরে থানায় অপহরণের মামলা রুজু হয়। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, বারাসতে কৌশিক প্রামাণিকের ফ্ল্যাটেই ছিলেন রিয়া। কৌশিকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় তাঁর।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে গিয়ে পুলিশ দেখে, স্যুটকেস হাতে ওই কৌশিক বাগুইআটির অলি-গলিতে ঘুরেছিল। তারপর একটি জায়গায় ফেলে যায়। একটি ওলা ক্যাবে চেপেই এসেছিল কৌশিক। সেই ক্যাবের চালককে প্রশ্ন করে বারাসতে কৌশিকের ফ্ল্যাটে পৌঁছে যায় পুলিশ। জানতে পারে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার হয়ে গিয়েছে কৌশিক। মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার পুলিশ বারাসত থেকে তাকে গ্ৰেফতার করেছিল। এবার তাকে হেফাজতে নিল বিধাননগর পুলিশ।