কলকাতা: নাগেরবাজারের নয়াপট্টিতে বৃদ্ধের খুনের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কিছুদিন আগেই অভিযুক্ত গাড়িচালক সৌরভ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল নাগেরবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরার মুখে ধৃত গাড়িচালক গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। কীভাবে কল্যাণ ভট্টাচার্যকে খুন করা হয়েছিল, সেই বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের কাছে। মৃত কল্যাণ ভট্টাচার্যের একটি বিএমডাব্লিউ ছিল। সেই গাড়িটিকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত।
অভিযুক্ত গাড়িচালক সৌরভ চাইছিল বিএমডাব্লিউ গাড়িটি নিয়ে দিঘা যেতে। সেই সূত্র ধরেই বচসা শুরু। বৃদ্ধ কল্যাণবাবু তাতে রাজি ছিলেন না। এরপরও বেশ কয়েকবার সৌরভ তাঁকে ফোন করেছিল। কিন্তু তিনি ফোনও ধরছিলেন না। এদিকে সৌরভও ছাড়ার পাত্র ছিল না। সেও চাইছিল যে কোনও উপায়ে বিএমডাব্লিউ গাড়িটি নিয়ে দিঘায় যেতে। এমন অবস্থায় একদিন বাড়ির পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে সে। আবার বাক-বিতন্ডা শুরু হয় বিএমডাব্লিউ নিয়ে। বচসা ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং তা ধাক্কাধাক্কির পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
ধাক্কাধাক্কির মধ্যে মাথায় আঘাত লাগে বৃদ্ধের। এরপর অভিযুক্ত সৌরভ বৃদ্ধের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে। এরপরও থেমে থাকেনি সে। বৃদ্ধের মৃত্যু নিশ্চিত করে গলা টিপে খুন করে বলে অভিযোগ।
বৃদ্ধের মৃত্যুর পর গ্যারেজ থেকে বিএমডাব্লিউ নিয়ে ধাঁ সৌরভ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে সে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল বারাসতে। তারপর সেখান থেকে বন্ধুদের নিয়ে দিঘায়। গত শনিবারই অভিযুক্ত গাড়িচালককে গ্রেফতার করে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। এরপর দফায় দফায় জেরা চলেছে। অভিযুক্ত যুবক ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরার মুখে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে বলে খবর। আজ অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। গোটা ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়েছে।