কলকাতা: প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। র্যাগিং নাকি মানসিক অবসাদ, স্বপ্নদীপকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল কে? রাতে ফোন করে বাড়িতে কোন কথা বলতে চেয়েছিলেন স্বপ্নদীপ? এই সব ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও। তবে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অন্তত ১০-১৫ জন পড়ুয়াকে। স্বপ্নদীপ মেন হস্টেলের যে বিল্ডিং-এ ঘর পেয়েছিলেন, সেই বিল্ডিং-এর অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। এছাড়া হস্টেল খতিয়ে দেখতে রাতেই সেখানে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) ও ডিসি এসএসডি।
বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপের।বুধবার রাতে তিনি ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন বলে হস্টেল সূত্রে খবর। আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। তাঁদের সন্দেহ, হস্টেলেই কিছু একটা ঘটেছিল। আসল ঘটনা কী? ওইদিন রাতে ছাদে কি আর কেউ ছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। ছাদে অর্থাৎ যেখানে থেকে ঝাঁপ দেয় স্বপ্নদীপ, মাটিতে যেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে, সে সব ঘুরে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী রাত ১১টা ১৪ মিনিটে থানা থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করছি। তবে কী হয়েছিল এখনই বলতে পারছি না।’ পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়ার জন্য পুলিশের একটি টিং নদিয়ায় গিয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, ডিসি এসএসডি বিদিশা কালিতা রাতে জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে সবাই সহযোগিতা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর কথাই প্রমাণ হচ্ছে সেই রিপোর্টে। উল্লেখ্য, রাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। স্বপ্ননীলের দেহ যেখানে পড়েছিল সেই জায়গাটিও দেখেন তিনি। কথা বলেন পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেও।