Sajal Ghosh: ‘এই ভাবে পুজো চালানো সম্ভব নয়…’, পঞ্চমীর বিকালে সজলের মুখে বড় কথা

Santosh Mitra Square, Sajal Ghosh: চলতি বছরের পুজো থিম 'অপারেশন সিঁদুরের' লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের দায়িত্বে থাকা রাজস্থানে একে প্রোজেক্টিংকে নোটিস পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সংস্থার লাইসেন্স, পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র-সহ একাধিক নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে তাদের কাছে। পাশাপাশি, চাওয়া হয়েছে শোয়ের অনুমতিপত্র।

Sajal Ghosh: এই ভাবে পুজো চালানো সম্ভব নয়..., পঞ্চমীর বিকালে সজলের মুখে বড় কথা
বিজেপি নেতা সজল ঘোষImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Sep 27, 2025 | 7:42 PM

কলকাতা: এটা প্রথম নয়, সজলের কথায় একুশ সালের পর পুজোকে কেন্দ্র করে ‘পুলিশি অসভ্য়তামী’ হয়ে উঠেছে প্রতি বছরের উপমা। আর এই ভাবে যদি চলতে থাকে, তা হলে পুজো করা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ক্লাবের পক্ষে আর সম্ভব হবে না বলেই দাবি সজলের। কিন্তু কেন এই কথা বলতে হল তাঁকে?

বিবাদের সূত্রপাত পুজোর লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ঘিরে। যেখানে আবার ‘ষড়যন্ত্রের’ গন্ধ পেয়েছেন সজল। জানা গিয়েছে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের চলতি বছরের পুজো থিম ‘অপারেশন সিঁদুরের’ লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের দায়িত্বে থাকা রাজস্থানে একে প্রোজেক্টিংকে নোটিস পাঠিয়েছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। সংস্থার লাইসেন্স, পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র-সহ একাধিক নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে তাদের কাছে। পাশাপাশি, চাওয়া হয়েছে শোয়ের অনুমতিপত্র। পুলিশের পাঠানো ওই নোটিসে হাইকোর্ট এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশের কথাও উল্লেখ রয়েছে।

এদিন সজল বলেন, ‘এরকম চলতে থাকলে পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া-মারপিট-আন্দোলন করে পুজো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর এই ঘটনা প্রথম নয়, প্রতিবছরের। আমরা তাদের বারবার বলেছি যে আপনারা একটি চিঠি দিয়ে দিন। আমরা পুজো বন্ধ করে দেব। পুলিশ বলেছে, আমরা এখন চিঠি দেব না। আর এখন চালানো যাবে না। চালাতে দেওয়া হবে না নয়। আমি জানি না এই দু’টি বাক্যের অর্থ কি!’

তাঁর সংযোজন, ‘পুলিশ এতটাই প্রতিশোধস্পৃহা সম্পন্ন যে আমাদের এলাকা থেকে নিযুক্ত হওয়া প্রতিটি সিভিক ভলান্টিয়ারকে তারা আজ বসিয়ে দিয়েছে। কারণ তাঁদের ধারণা এই সিভিক ভলান্টিয়াররা পুজোর পক্ষে থাকবে। এর আগেও আমরা দেখেছি আরও একটা অপারেশন সিঁদুর প্যান্ডেল বন্ধ হয়েছে। পুলিশ যে শুধু এটাকেই বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে এমনটা নয়। যাতে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়, সেই ভিত্তিতে পুজো কমিটিকে কালিমালিপ্ত করা যায় সেই ছকটাও কষে রেখেছে। আমি জানতে চাই, এই রাজ্যে পুজো করাটা অপরাধ কিনা! আমাদের সাউন্ডে নাকি বিরাট অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এলাকার মানুষের কাছে যান। তারা যদি বলেন, আমি বন্ধ করে দেব। কিন্তু আমি জানি, আসল অসুবিধা কোথায় হয়েছে।’

সজলের অভিযোগ যে এই টুকুর মধ্যেই সীমিত থেকেছে এমনটা নয়। পুলিশি ব্য়ারিকেড নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘গোটা এলাকায় যতগুলো পুজো হচ্ছে, সবগুলিকেই ব্য়ারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। সরকার বিরোধী অভিযান চালালে যে বিরাট আকারের ব্যারিকেড বসানো হয়, ঠিক তেমনই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ৪০ ফুটের রাস্তাকে গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করে ১৫ ফুটের রাস্তা দিয়ে গরু-গাধার মতো হাঁটাচ্ছে। যেখানে ৭০০ মিটার হাঁটলে মাঠে পৌঁছে যাওয়া যায়। সেখানে হাঁটতে হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার।’