কলকাতা: মুখে লম্বা সাদা দাড়ি, চোখে চশমা। লাভপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ক্রমশ রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারালেও তাঁর একসময়ের দাপটের কথা এখনও মনে আছে অনেকের। এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেই মনিরুল। পুলিশ নাকি তাঁর বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা মামলা করছে। এই অভিযোগ নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ছিল সেই মামলার শুনানি। মনিরুলের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মিথ্যে মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মনিরুল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে তাঁর আর্জি, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করার আগে নোটিস দিতেই হবে। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি। বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘দাঙ্গার মতো অপরাধের অভিযোগ থাকলে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে।’
একসময় রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো চর্চায় থাকতেন লাভপুরের মনিরুল ইসলাম। ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা মনিরুল ২০০৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডলের কাছের লোক বলেও পরিচিত ছিলেন একসময়। পরে ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তাঁর যোগদানের পর বিজেপির অন্দরেও তৈরি হয়েছিল দ্বিমত। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর নির্দল হিসেবে ভোটেও লড়েছিলেন মনিরুল।
উল্লেখ্য, ২০১১ ও ২০১৬ সালে পরপর দুবার তৃণমূলের টিকিটে লাভপুর থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন মনিরুল। মাঝে দলবদল করলেও বিজেপি তাঁকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেয়নি। ওই বছরই তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন লাভপুরে।