Post Poll Violence Case: সিবিআই তদন্তে অখুশি নিহত অভিজিতের দাদা, কাঁকুরগাছি মামলায় এবার নয়া মোড়

Post Poll Violence Case: সূত্রের খবর, সিবিআই তদন্তে অখুশি তিনি। মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ।

Post Poll Violence Case: সিবিআই তদন্তে অখুশি নিহত অভিজিতের দাদা, কাঁকুরগাছি মামলায় এবার নয়া মোড়
অভিজিত সরকার খুনের তদন্তে নয়া মোড় (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2022 | 12:14 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কাঁকুরগাছি কেসে নয়া মোড়। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি একজন অভিযুক্তও। এবার সিবিআই তদন্তের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ। শিয়ালদা আদালতে গিয়েছেন বিশ্বজিতের দাদা। সূত্রের খবর, সিবিআই তদন্তে অখুশি তিনি। মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ।

সম্প্রতি অভিজিৎ খুনে অভিযুক্তদের নামে পুরস্কার ঘোষণা করেছে সিবিআই। অভিযুক্তদের ধরে দিতে পারলেই ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শিয়ালদহ আদালতের নির্দেশের পর অভিযুক্তদের নাম ও ছবি-সহ এই পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে সিবিআই। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন এবং লিফলেট বিলি মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আনা হয়।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে এটাও নিশ্চিত করা হয়েছে, এই অভিযুক্তদের সম্পর্কে যিনি খোঁজ দেবেন তার নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। অভিযুক্তদের তথ্য পেতে সিবিআই-এর যোগাযোগের নম্বর সহ প্রচারপত্র প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, চার অভিযুক্তের বাড়িতে অক্টোবরের শুরুতেই হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন এক্কেবারে সাতসকালেই চার অভিযুক্তের বাড়িতে আকস্মিক পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। ওই চার জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। চার জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কিন্তু সেদিনও তিন অভিযুক্তকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁরা কোথায় গিয়েছেন, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু কোনও ইতিবাচক তথ্যও হাতে পাননি তদন্তকারীরা। এরপরও চলে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি। কিন্তু একেবারে ‘গায়েব’ অভিযুক্তরা। এবার অভিযুক্তদের ওপর চাপ বাড়াতে নতুন রণকৌশল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।

ভোট গণনার পরের দিনই মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। গলায় তার পেঁচানো উদ্ধার হয় অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ। তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই দাবি তোলে, বিজেপি করার অপরাধে অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে নিহতের পরিবার। তদন্তের স্বার্থে তাঁর দেহ সৎকার করা হয়নি। ১৩৬ দিন পর সৎকারের অনুমতি পায় পরিবার।

সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনায় একাধিকবার অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কখনও বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁরা। কখনও আবার নিজাম প্যালেস কিংবা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন বিশ্বজিৎ নিজে।

অভিজিতের মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়। দীর্ঘ কয়েক মাস লাশকাটা ঘরে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। শেষে ডিএনএ রিপোর্টে দেখে ভাইয়ের শ্রাদ্ধের ব্যবস্থা করেছেন দাদা। সেপ্টেম্বরে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। সেপ্টেম্বরেই চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে দাঁত কামড়ে পড়ে রয়েছেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ। আর এদিকে, বিশ্বজিৎই এই মামলায় সিবিআই-এর প্রধান হাতিয়ার। ইতিমধ্যে একবার খুনের হুমকিও পেয়েছেন বিশ্বজিৎ। লালবাজারে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। মামলার গতি অভিযুক্তদের গ্রেফতারি না পর্যন্ত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: স্কুল খোলার দাবিতে পথে ৩ ছাত্র সংগঠন! বিক্ষোভের ত্র্যহস্পর্শে আজ ফের উত্তাল হতে পারে শহর