কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘটনায় সোমবার হাইকোর্টে জমা পড়তে চলেছে তৃতীয় স্টেটাস রিপোর্ট। সিবিআইয়ের তরফে এদিন তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। এই রিপোর্টে নতুন ১০ টি চার্জশিট, ১টি এফআইআর উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর ভোট পরবর্তী হিংসার দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তাতে উল্লেখ ছিল, ৫০ টি এফআইআর ইতিমধ্যেই রুজু হয়েছে। অক্টোবরে মুখবন্ধ খামে আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন তদন্তকারীরা। ২২ সেপ্টেম্বর নিজাম প্যালেসে রিভিউ বৈঠকেও বসেন তাঁরা। দিল্লি থেকে জয়েন্ট ডিরেক্টররা আসেন কলকাতায়। কতগুলি এফআইআর হল, কতগুলি চার্জশিট জমা পড়েছে, কতজন গ্রেফতার হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ উল্লেখ রিপোর্টে থাকবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত চলছে পুরোদমে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি ধড়পাকড়ও চলছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করে সিবিআই। গত মাসেই মুর্শিদাবাদের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এই মামলা রুজু করা হয়। সেই কান্দির উগ্র ভাটপাড়া গ্রামে ‘স্পট ভিজিট’-এ যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার বিশেষ প্রতিনিধি দল।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এই মাসের শুরুতেই ২১টি ধর্ষণের অভিযোগ ফিরিয়ে দেয় সিবিআই। অভিযোগগুলির সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন বা এনএইচআরসি (NHRC)-এর দাখিল করা রিপোর্টে এই অভিযোগগুলি ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ২১টি যৌন হেনস্তার অভিযোগের কথা। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তে এই অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
অর্থাৎ ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর সেই অভিযোগগুলি বাস্তবে ভিত্তিহীন বলেই তদন্তে জানতে পেরেছে সিবিআই। নিঃসন্দেহে এই তথ্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই অভিযোগগুলিকে সামনে রেখেই ভোটের বাংলায় বার বার সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও পাল্টা শাসকদলও দাবি করেছে, অধিকাংশ অভিযোগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদীত। প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই যে রিপোর্ট আদালতকে দিয়েছিল তা সম্পূর্ণ ছিল না।