Post Poll violence: বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন! শোভারানি মণ্ডল খুনে তিন মহিলা সহ আট জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই
Shovarani Mondal: ভোট পরবর্তী পর্যায়ে শোভারানির ওপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মা শোভারানি। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে খুন করা হয়।
কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর শ্যামনগরের রাউতা বিআরএক কলোনির বাসিন্দা শোভারানি মণ্ডলের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার সিবিআই পাওয়ার পর সেই শোভারানি মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন আধিকারিকেরা। এবার সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আটজনকে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার জগদ্দল বিধানসভার বিজেপি বুথ সভাপতি কমল মন্ডলের মা শোভারানি মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে তিন মহিলা সহ মোট আট জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর এই আট জনকে গতকাল মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিসে তাদেরকে আজ, বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে আসতে বলা হয়েছিল। সেই মতো তাঁরা আজ সকালে সিবিআই দফতরে আসেন। তারপর তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় বয়ানে অসঙ্গতি আধিকারিকেরা। এরপরই তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজন মহিলাকে বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং বাকি পাঁচজনকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামিকাল বৃহস্পতিবার তাঁদেরকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
ভোট পরবর্তী পর্যায়ে শোভারানির ওপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মা শোভারানি। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার বারাকপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন রতন হালদার নামে একজন। গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
কিছুদিন আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে শোভারানি মণ্ডলের বাড়িতে যায় সিবিআই। প্রায় তিন ঘণ্টা শ্যামনগর রাউতা বিআরএস কলোনিতে ছিলেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ আরও একবার খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি মন্ডল পরিবারের যাঁরা সিবিআই আফিসে যেতে পারেননি, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ইতিমধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে আরও একটি চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি হত্যাকাণ্ডে চার্জশিট দায়ের করেছে সিবিআই। বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি হত্যাকাণ্ডে শেখ ফতেনুর, শেখ মিজানুর ও শেখ ইমদুলাল ইসলামর নামে হলদিয়া আদালতে চার্জশিট জমা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এই নিয়ে হিংসা তদন্তে চার্জশিটের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি সমর্থক দেবব্রত মাইতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই খুনের কাণ্ডে নাম জড়ায় সুফিয়ানেরও। নিহত দেবব্রতের পরিবার মানবাধিকার কমিশনের কাছে তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগও দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) সুপারিশকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। কিন্তু, সেই মামলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে।
আরও পড়ুন: Corona Update: উৎসবের মরশুমে কলকাতায় করোনার ‘ডবল সেঞ্চুরি’, রাজ্যে মৃত মোট ১১