কলকাতা: বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে আলু একেবারে বাধ্যতামূলক। আর কিছু জুটুক না জুটুক, নিত্যদিনের মেনুতে আলু থাকেই। কিন্তু সেই আলুই যখন অগ্নিমূল্য, তখন মধ্যবিত্তের পকেটে যে চাপ বাড়ে, তা বলাই বাহুল্য। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই আলুর দাম হু হু করে বেড়েছে। কখনও ৩০ টাকা, কখনও ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। সরকার কতটা নজরদারি চালাচ্ছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে এ বিষয়ে যে রাজ্য সরকার ভাবনা-চিন্তা করছে, তেমনটাই বললেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্নেহাশিস বলেন, ‘আলুর দাম যে বেড়েছে, তা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। অনেক সময় সরকারেরও হাত-পা বাঁধা থাকে।’ তিনি জানান, সরকার এই বিষয়টা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে। আলু নিয়ে যে ফড়েদের একটা চক্র চলছে, সে কথা জানেন বলেও উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, হুগলি জেলার অন্যতম বিধায়ক হিসেবে আলুর সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি।
তবে মন্ত্রীর দাবি, তেলের দাম বাড়ার বিষয়টাও এ ক্ষেত্রে একটা অন্যতম কারণ। তিনি জানান, ডিজেলের দাম বেড়ে গেলে পরিবহনের খরচও বেড়ে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।
শীত পড়ে গেলে সাধারণত সবজির দাম কমে যায়। তবে এ বছর তাপমাত্রা নামতে শুরু করলেও সবজির দাম কমার লক্ষণ নেই। এমনকী মাছ বা মাংসের দামেও তেমন কোনও বদল আসেনি। মোটামুটিভাবে জ্যোতি আলু ২০ টাকা, নতুন আলু, ৩৫ টাকা, চন্দ্রমুখী আলো ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে।