Prantik-Rajnaya: ‘সাত মন তেল পুড়ল কাজের কাজ কিছুই হল না’, ‘লগ্নভ্রষ্ট’ প্রান্তিক-রাজন্যার দলবদল

Prantik-Rajnaya: এসবের মাঝেই ভিডিয়ো বার্তায় খোঁচা দিয়েছে বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের একটি ভিডিয়ো বার্তায় খোঁচা দিয়ে বলেছেন 'লগ্নভ্রষ্ট'  দলবদল। নাম না করে তিনি বলেন, "সকাল থেকেই শুনছিলাম, ইনি জয়েন করবেন, তৃণমূল থেকে ওমুক নেতা ওমুক নেত্রী বিজেপিতে যোগদান করবেন। সবশেষে এখন যা বুঝতে পারা যাচ্ছে, আসলে লগ্নভ্রষ্ট দলবদল হতে চলেছে।"

Prantik-Rajnaya: সাত মন তেল পুড়ল কাজের কাজ কিছুই হল না, লগ্নভ্রষ্ট প্রান্তিক-রাজন্যার দলবদল
প্রান্তিক রাজন্যাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 08, 2025 | 4:17 PM

কলকাতা: ফুল বদল হওয়ার কথা ছিল রাজন্যা-প্রান্তিকের। কিন্তু এবার তা নিয়ে সংশয়। সোমবার সকাল থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় করা খবর, রাজন্যা প্রান্তিক বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে খবর পরিবেশিত হয়। নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টও করেন। স্বামী বিবেকানন্দের ছবিতে মালা চড়িয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন রাজন্যা। ক্য়াপশনে লিখেছেন, ‘আমার বাংলা রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্র ধার চাই।’

ক্যাপশনের নীচে লিখেছেন ‘লেটস চেঞ্জ’। কিন্তু তারপর বেলা গড়াতেই অর্থাৎ দিনের সেকেন্ড হাফে অন্য খবর! সেই জল্পনাতে কোথাও গিয়ে একটা ছেদ পড়ল। সূত্রের খবর, আপাতত রাজন্যা-প্রান্তিকে দলবদল স্থগিত পর্যায়ে! আজ অর্থাৎ সোমবার দলবদল করছেন না রাজন্য প্রান্তিক।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যে এই মুহূর্তে অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে রয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় ফিরে এসেই তিনি দলবদলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এসবের মাঝে আবার এও শোনা যায়, দিনের দ্বিতীয়ার্ধ্বে তৃণমূলের তরফেও যোগাযোগ করা হয়েছে রাজন্যা-প্রান্তিকের সঙ্গে। এই নিয়ে অবশ্য় মুখ খুলতে চাইনি রাজন্যা প্রান্তিক কেউই।

আর এসবের মাঝেই ভিডিয়ো বার্তায় খোঁচা দিয়েছে বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের একটি ভিডিয়ো বার্তায় খোঁচা দিয়ে বলেছেন ‘লগ্নভ্রষ্ট’  দলবদল। নাম না করে তিনি বলেন, “সকাল থেকেই শুনছিলাম, ইনি জয়েন করবেন, তৃণমূল থেকে ওমুক নেতা ওমুক নেত্রী বিজেপিতে যোগদান করবেন। সবশেষে এখন যা বুঝতে পারা যাচ্ছে, আসলে লগ্নভ্রষ্ট দলবদল হতে চলেছে।”

সায়নের কথায়, বাংলার রাজনীতিকে মজার জায়গায় নিয়ে গিয়েছে বিজেপি-তৃণমূল। তিনি বলেন, “যে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি এত বড় বড় কথা বলেছে, তাতে নাম জড়িয়ে পড়া নেতাকে বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছে। তারপর আবার শোনা যাচ্ছে, দিল্লিতে একজন নেতা আটকে গিয়েছেন, তিনি কলকাতায় ফিরলে হবে! সব মিলিয়ে বলতেই পারি, সাত মন তেল পুড়ল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না।”

উল্লেখ্য,  আরজি কর-কাণ্ডের পটভূমিতে শর্ট ফিল্ম নির্মাণের কারণে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন থেকে রাজন্যা হালদার এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাতে শাসকদলের অন্দরেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে  রাজন্যা হালদারের উত্থান। তরুণ নেত্রীর বক্তৃতা-স্লোগান সাড়া ফেলেছিল। শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। তখন  একাংশের মত ছিল, রাজনীতির আসল পাঠে শিক্ষিত না হয়ে কেবল প্রচারের আলোয় থেকেই কেন উত্থান? এরপর দলের অন্দরেই একাধিকবার বিতর্কে পড়েছেন রাজন্যা, আর তাঁর পাশে থেকে বিতর্কে পড়েছেন প্রান্তিক।