Tangra Case: সুদেষ্ণা-রোমির শিরা কেটেছিল কে? ট্যাংরা-কাণ্ডে কে ঠিক, কে ভুল!

Tangra Case: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, দে পরিবারে তিনজন সদস্যের মধ্যে আগে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। ময়নাতদন্ত হওয়ার অন্তত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয় নাবালিকার।

Tangra Case: সুদেষ্ণা-রোমির শিরা কেটেছিল কে? ট্যাংরা-কাণ্ডে কে ঠিক, কে ভুল!

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Feb 28, 2025 | 10:27 AM

কলকাতা: আটদিন পরও ট্যাংরা-কাণ্ডে একের পর এক নয়া মোড়। শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে বিস্ফোরক দাবি করেছেন ওই অভিশপ্ত দে পরিবারের নাবালক সদস্য। সে দাবি করেছে, তার মা-কাকিমাকে খুন করেছে তার কাকা। এমনকী তাকেও শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল বলে দাবি করেছে সে। অন্যদিকে, তার বাবা ও কাকা অর্থাৎ প্রণয় দে ও প্রসূন দে-র কথায় ধরা পড়ছে অসঙ্গতি।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুই ভাইয়ের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। প্রসূণ দে পুলিশের কাছে দাবি করছেন, সুদেষ্ণা ও রোমি অর্থাৎ দুই ভাইয়ের স্ত্রী’রা নিজেরাই হাত কেটেছেন। এখন পুলিশের ভরসা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট বলছে, দুই মহিলার হাতের কাটা দাগ ‘সেলফ ইনফ্লেকটেড’ নয় অর্থাৎ তাঁরা নিজেরা হাত কাটেননি। দুই মহিলার হাতের শিরা কাটে কেউ।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, দে পরিবারে তিনজন সদস্যের মধ্যে আগে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। ময়নাতদন্ত হওয়ার অন্তত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয় নাবালিকার। তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন, ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা ছিল প্রণয় দে-র। সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় ‘প্ল্যান-বি’ তৈরি করেন প্রসূন দে।

আর এই দ্বিতীয় পরিকল্পনা ছিল, হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করা। কিন্তু প্রণয় হাত কাটতে রাজি হননি। তারপর রাতে তিনজন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে।