কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বনধের বিরোধিতা করেছে। যে কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের ডাকা বনধকে কর্মনাশা আখ্যা দিয়ে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বামেদের বনধ ঘোষণার পরই সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।
বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র যুবদের ১০টি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। সেই অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নেয় শহর। এরপরই ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় বামেরা। বনধ ঘোষণার পরই নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্ন দেখিয়ে ধর্ষণ, জেলে অকথ্য অত্যাচার মানবাধিকার কর্মীকে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার কর্মীদের কোনও ছুটি থাকছে না। কোনও কর্মীই ‘ক্যাজুয়াল লিভ’ নিতে পারবেন না। দিনের প্রথমার্ধ, দ্বিতীয়ার্ধ বা পুরো দিনেও কোনও ছুটি নেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। অনুপস্থিত হলে বেতন কাটা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন সরকারি কর্মীরা, রয়েছে সেই তালিকা। যদি কোনও কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন বা গুরুতর অসুস্থতার জেরে আগে থেকেই ছুটিতে থাকেন, সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া কর্মী যদি মাতৃত্বকালীন ছুটি বা চাইল্ড কেয়ার লিভে থাকেন সেক্ষেত্রেও অনুপস্থিত থাকলে কোনও সমস্যা হবে না। রাস্তায় গাড়ি না পাওয়ার অজুহাতে অনুপস্থিত হওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
যদিও এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি নতুন নয়, তবে কৃষক বনধের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান ছিল কিছুটা ব্যতিক্রমী। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।