Israel Iran war: ‘দুঃস্বপ্নের’ তেহরানে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কলকাতার কলেজের অধ্যাপকের

Israel Iran war: ফোনে অধ্যাপক ফাল্গুনী দে বলেন, "গাড়িতে করে কোনওরকমে দুঃস্বপ্নের তেহরান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু, ইরানের আস্তারা সীমান্তে আটকে পড়েছি। ই-ভিসার মাধ্যমে শুধু বিমানে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া যায়। তবে সড়কপথে সীমান্ত পেরতে আজেরবাইজান সরকারের অভিবাসন দফতরের দেওয়া মাইগ্রেশন কোড দরকার।

Israel Iran war: দুঃস্বপ্নের তেহরানে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কলকাতার কলেজের অধ্যাপকের
ফাইল ফোটোImage Credit source: PTI

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 18, 2025 | 12:11 PM

কলকাতা: ইরান ও ইজরায়েলের সংঘর্ষে তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। আর এসবের মাঝে ইরানে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল কলকাতার একটি কলেজের এক অধ্যাপকের। তেহরানে আটকে পড়েছিলেন তিনি। তারপর গাড়িতে করে ইরান ও আজেরবাইজানের আস্তারা সীমান্তে পৌঁছেছেন তিনি। তবে ভিসা সংক্রান্ত সমস্যায় আপাতত আস্তারা সীমান্তেই আটকে রয়েছেন তিনি। আজেরবাইজানে ঢুকতে পারেননি।

কলকাতার উইমেন্স ক্রিশ্চিয়ান কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক ফাল্গুনী দে। ইজরায়েলের সঙ্গে ইরানের সংঘর্ষ শুরুর আগে গিয়েছিলেন তেহরান। ওখানে গিয়ে আটকে পড়েন। প্রথমে হোটেলবন্দি ছিলেন। তারপর একটি গাড়িতে করে ইরানের আস্তারা সীমান্তের দিকে রওনা দেন। উদ্দেশ্য ছিল আস্তারা সীমান্ত পেরিয়ে আজেরবাইজান পৌঁছবেন। তারপর আজেরবাইজানের বাকু থেকে ভারতে ফিরবেন। সেইমতো সব ব্যবস্থাও করেছিলেন। আজেরবাইজানে ঢুকতে অনলাইনে আবেদন জানিয়ে ই-ভিসা পান।

ফোনে অধ্যাপক ফাল্গুনী দে বলেন, “গাড়িতে করে কোনওরকমে দুঃস্বপ্নের তেহরান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু, ইরানের আস্তারা সীমান্তে আটকে পড়েছি। ই-ভিসার মাধ্যমে শুধু বিমানে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া যায়। তবে সড়কপথে সীমান্ত পেরতে আজেরবাইজান সরকারের অভিবাসন দফতরের দেওয়া মাইগ্রেশন কোড দরকার। সেটা আমি জানতাম না। সেটার আবেদনও করেছি। কিন্তু, তা কবে পাওয়া যাবে, জানি না। ওই মাইগ্রেশন কোড পেতে নাকি ১৫ দিন লাগবে।”

এখন আস্তারা সীমান্তে কীভাবে দিন কাটবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এই অধ্যাপক। তিনি বলছেন, হাতে টাকাও প্রায় নেই। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা লেনদেন করতে পারছেন। কিন্তু সেটাও সীমিত অর্থ। কবে, কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, সেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাঁর। তবে, স্বস্তি একটাই। ‘দুঃস্বপ্নের’ তেহরান থেকে অনেকটাই দূরে চলে আসতে পেরেছেন। এখন শুধু বাড়ি ফেরার বিমান ধরার অপেক্ষায় কলকাতার এই অধ্যাপক।