Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Protest for Recruitment: ‘কয়েক হাজার অঙ্কিতার’ বিরুদ্ধে ৫০০ দিনের লড়াই, কী বলছেন আন্দোলনকারীরা?

Protest for Recruitment: এরপরও রাস্তায় নেমেই আন্দোলন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির জন্য চলবে লড়াই।

Protest for Recruitment: 'কয়েক হাজার অঙ্কিতার' বিরুদ্ধে ৫০০ দিনের লড়াই, কী বলছেন আন্দোলনকারীরা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2022 | 5:32 PM

কলকাতা : ঝড়-বৃষ্টি, রোদ মাথায় নিয়ে শহরের রাস্তায় দিনের পর দিন লড়াই চলছে। সুবিচার পাননি অনেকেই। কারও নাম প্যানেলে থাকলেও চাকরি মেলেনি, কারও দাবি কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে চাকরি। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলা সেই আন্দোলন ৫০০ দিন পেরোল। ন্যায়বিচার চেয়ে আজও রাস্তায় বসে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের যদি চাকরি দেওয়া হত, তাহলে এ ভাবে টাকা উদ্ধারের ছবি দেখতে হত না মানুষকে। ৫০০ দিন ধরে আন্দোলন চলার পরও কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে? সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।

সম্প্রতি মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগে বেনিয়মের প্রমাণ সামনে আসে। আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চাকরি দেওয়া হয়েছে অঙ্কিতার প্য়ানেলে থাকা ববিতা সরকারকে। এ দিন এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘একজন অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলাম। পরে দেখলাম, এরকম কয়েক হাজার অঙ্কিতা অধিকারী আছে। আর কয়েক হাজার ববিতা সরকার সুবিচালের জন্য অপেক্ষা করছে।’

ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মমালায় গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। সেই টাকার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগ আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে ইডি। তবে এ সবে চিঁড়ে ভিজছে না। যোগ্য প্রার্থীরা কবে চাকরি পাবে, তা নিয়ে জারি রয়েছে আন্দোলন।

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘৫০০ দিন ধরে রাস্তায় পড়ে আছি। ধর্মতলায় এতদিন ধরে আন্দোলন করছি, তবু মাননীয়া জানতে পারছেন না। উনি একবার কেন এখানে আসছেন না? উনি তো একজন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী।’ তাঁদের প্রশ্ন, শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে ধর্মতলায় এলেও মাত্র ১০০ মিটার দূরে গান্ধীমূর্তি পাদদেশে আসার সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর? তাঁরা বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কেন চুপ?’