Pujoy Pulse: নানা কথায় ‘নারী’ নক্ষত্র! ‘গোল টেবিলে’ প্রসঙ্গ উঠল ‘গোলমোল’
Pujoy Pulse in Durga Puja 2025: আইএলএসআর-র ডিরেক্টর স্বাতী গুহ বললেন, 'বাবা রাজ্য সরকারের কর্মী ছিলেন। তাই ছোট থেকেই জেলায় জেলায় ঘুরে পড়াশোনা করেছি আমি। এমনকি, বহুবার স্কুলও পরিবর্তন করতে হয়েছে। কলকাতায় আবহটা অন্যরকম ছিল। কোয়েড স্কুল। কিন্তু গ্রামে গিয়ে আমি তো অবাক। ওখানে সব আলাদা-আলাদা।'
কলকাতা: গত দু’বছরের ন্যায় তৃতীয় বছরও শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোয় পালস। চলছে তাদের জেলাওয়াড়ি সফর। আর সেই সফরের মাঝে একটু যেন বিরতি হোক আলোচনার মধ্যে দিয়ে। ফুটে উঠুক নারীদের কথা। নারী-নক্ষত্রদের কথা। আর সেই লক্ষ্যকেই সাধন করল পালস। তাদের আলোচনা যোগ দিলেন, ডক্টর স্বাতী গুহ, তিনি আইএলএসআর-র ডিরেক্টর। যোগ দিলেন, নৃত্যকার তনুশ্রী শঙ্কর, টিভি৯ নেটওয়ার্কের সিএইচআরও দেবলীনা সান্যাল মজুমদার। এছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্য়ায় ও গায়িকা পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নিজেদের জীবনের বহু কথাই তুলে ধরলেন আগত অতিথিরা। এই যেমন নিজের ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে আইএলএসআর-র ডিরেক্টর স্বাতী গুহ বললেন, ‘বাবা রাজ্য সরকারের কর্মী ছিলেন। তাই ছোট থেকেই জেলায় জেলায় ঘুরে পড়াশোনা করেছি আমি। এমনকি, বহুবার স্কুলও পরিবর্তন করতে হয়েছে। কলকাতায় আবহটা অন্যরকম ছিল। কোয়েড স্কুল। কিন্তু গ্রামে গিয়ে আমি তো অবাক। ওখানে সব আলাদা-আলাদা।’
নৃত্যকার তনুশ্রী শঙ্কর আবার বললেন, ‘আমি তো নাচের জগতেরই লোক নয়। ডাক্তারের বাড়ির মেয়ে। কখনও কলকাতায় থাকিনি। পঞ্জাবে থেকেছি। বিভিন্ন ভাষা পড়েছি। কিন্তু বাংলা পড়িনি। মা গরমের ছুটিতে বাংলা বর্ণপরিচয় পড়াতেন। তবে হ্যাঁ বছরে দু’টো মাস আমি অপেক্ষা করতাম কখন কলকাতায় আসব।’
এই প্রসঙ্গে টিভি৯ নেটওয়ার্কের চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার দেবলীনা সান্যাল মজুমদার আবার বললেন, ‘আমার মা তো শিক্ষক ছিলেন, সেই সূত্র ধরেই আমাদের বাড়ি নানা ভাবে সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত। মা বলতেন, শিউলি ফুল হচ্ছে মা দুর্গার আগমনী, যেটা আবার গোল।’ বলে রাখা ভাল, এই শিউলি ফুলের মতোই গোল পালসের ‘গোলমোল’। যা শুধু একটা আকৃতি নয়, বরং বাঙালি ঐতিহ্যেরও অংশ।
স্বরলিপি আবার বললেন, ‘বাঙালি খাদ্যরসিক। আমি হায়দরাবাদেও চেষ্টা করেছিলাম নিজের একটা ক্যাফে চালানোর। কিন্তু ওরা তো খেতেই ভালবাসে না। কিন্তু বাঙালি খেতে খুব ভালবাসে। আর আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার লুচি। সেটাও তো গোল।’ অন্যদিকে পৌষালী আবার বললেন, ‘প্রথমে গোল নিয়ে আসি। আমার শান্তিনিকেতনে থাকা। সেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা। তারপর গোল ঘুরে এসে আজ আমি মাটির গান গাই। এটা একটা গোল ব্যাপার।’