
কলকাতা: শিলান্যাস হয়েছে নির্বিঘ্নেই। টাকা সংগ্রহের প্রক্রিয়াও চালু রয়েছে। কিন্তু বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। বাবরি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে এখনও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। মসজিদের নির্মাণ বন্ধ করতে আদালতে মামলাও চলছে। কিন্তু সেই মামলায় আবারও স্বস্তি পেলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বাবরি মসজিদ নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা খারিজ করল আদালত।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হয়েছে ইতিমধ্যেই। কোটি কোটি টাকা অনুদানও এসে পৌঁছেছে হুমায়ুনের কাছে। সেই মসজিদ নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা হয়, সেখানে আবেদন ছিল নির্মাণের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক, নিরাপত্তা বাড়ানো হোক। প্রথম শুনানির দিন স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। কোনও হস্তক্ষেপ করেনি আদালত। এবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের এজলাসে খারিজ হয়ে গেল সেই মামলা।
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বলে পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চের। আইনজীবী এদিন সওয়াল করেন, ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি লাগবে’, তিনি প্রশ্ন তোলেন, ক্রমাগত মানুষকে উস্কানি দেওয়ার জন্যই কি মসজিদ নির্মাণ? শুনানি শেষে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মামলা খারিজ করে দেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান যেখানে মসজিদ হয়েছে, সেটি সরকারি জমি নয়, ট্রাস্টের জমি। তাই যে আবেদনগুলি হয়েছে সেগুলি বিবেচনা করা যায় না।
মসজিদের শিলান্যাস হওয়ার আগেও মামলা উঠেছিল আদালতে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। সেই সময় হুমায়ুন কবীরের কর্মসূচি নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি আদালত। এরপরই শিলান্যাস হয়।