কলকাতা: কেটেছে ৪৮ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। তিলোত্তমার হত্যার বিচার চেয়ে ফুঁসছে কলকাতা। শনিবারই এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। তাঁর সম্পর্কে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য়। এদিকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে চিন্তা বাড়ছে রোগী থেকে রোগীর পরিজনদের মধ্যে। রোগীর পরিজনদের একটা বড় অংশ বলছে, এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিষেবা। কোনও রোগীর কিডনিতে জল, কেউ বা গর্ভবতী, আবার কেউ দুর্ঘটনার শিকার। কিন্তু, বহু রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে। যা পরিষেবা পাওয়ার কথা তা মিলছে না। সকলেই চাইছেন দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হোক, সেই সঙ্গে দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক হাসপাতাল।
এদিকে সকাল থেকেই আবার হাসপাতাল চত্বরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। মাঠে নেমেছে RAF. আসছেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। এদিকে তিলোতম্যার হত্যার পর থেকেই আরজি করের নিরাপত্তা নিয়ে উঠে গিয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। অভিযোগ, সন্ধ্যা নামতেই আরজি করে চলছে অন্ধকারের রাজত্ব। হাসপাতালের পিছনের অংশে যেখানে একাডেমিক বিল্ডিং, প্লাটিনাম বিল্ডিং রয়েছে সেই সব জায়গায় আলোর থেকে অন্ধকারই বেশি। বড় বড় লাইট থাকলেও তা জ্বলে না বলে অভিযোগ।
ছাত্র-ছাত্রীদের একটা অংশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ অনেকেই। আলো তো আছে, তবে কারা নিভিয়ে দিচ্ছে? কোনও অপকর্ম চলে অন্ধকারের আড়ালে? উঠছে প্রশ্ন। তবে আপাতত নিশ্চুপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক ছাত্রী বলছেন, “পুরোটাই পরিকাঠামোর অভাব। নিরাপত্তারও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। কোনও পুলিশি প্রহরা থাকে না। অভিযোগ করলে কিছুদিন পাওয়া যায়। তারপর আবার সেই পুরনো ছবি। বহু জায়গাই অন্ধকারে ডুবে থাকে।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)