
কলকাতা: আরজিকরে ধর্ষণ খুনের মামলায় মূল দোষী সঞ্জয় রাইয়ের বেকসুর খালাস চেয়ে আবেদন করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই আবেদন গ্রহণ করল আদালত। সিবিআই-এর দায়ের করা মামলার সঙ্গে শুনানি হবে সঞ্জয় রাইয়ের দায়ের করা মামলার। জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার পরের শুনানি।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে সঞ্জয় রাইয়ের মামলা গৃহীত হয়। পরিবার এই মামলায় আদালতকে সহযোগিতা করতে পারবে বলেও এদিন স্পষ্ট করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন আদালতে সঞ্জয় রাইয়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয় না। বেকসুর খালাস হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন সঞ্জয় রাই বেকসুর খালাস চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয়কে শিয়ালদহ কোর্ট গত জানুয়ারি মাসে যাবজ্জীবনের জেলের সাজা দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেছেন ওই বরখাস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের আইনজীবী।
উল্লেখ্য, যেদিন শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয় রাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়, সেদিনই তাঁর আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তাঁরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে আদালতে জোর সওয়াল করেছিল সিবিআই। কিন্তু বিচারকের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। সঞ্জয়ের ফাঁসি আটকানোর জন্য আদালতে জোর সওয়াল করেছিলেন সঞ্জয়ের আইনজীবীরা।