কলকাতা: এসএসকএম-এর ধাঁচে আরজি করের ট্রমা কেয়ারকে নতুন ভাবে সাজানো হবে। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে শনিবার এ কথা জানান রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। এসএসকেএম মডেলে ট্রমা কেয়ার তৈরি করতে হলে নিউরোসার্জারি, নিউরো মেডিসিন, অ্যানাস্থেশিয়া, অর্থোপেডিক বিভাগেরও উন্নতি প্রয়োজন। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আরজি করের ট্রমা কেয়ারের মানোন্নয়নে সে সবই করা হবে। পাশাপাশি, কিডনি প্রতিস্থাপন বিভাগ ও চালু হবে আরজিকরে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে গৃহীত হয় আরজিকর ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরির প্রকল্প। প্রকল্প গ্রহণের বিস্তর টানা পোড়েনের পাঁচ বছরের মাথায় মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং তৈরি হয়। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও কেনা হয়। অক্সিজেন পাইপলাইন থেকে শুরু করে অপারেশন থিয়েটর সবই নতুন করে সাজানো হবে। ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্যের অন্যতম ট্রমা কেয়ার সেন্টার এটি। ছ’টি অপারেশন থিয়েটার ও পোর্টেবল আল্ট্রাসোনোগ্রাফি-সহ রয়েছে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রমা কেয়ারের জন্য কয়েক জন পৃথক চিকিৎসক, অন্তত ৫০ জন প্রশিক্ষিত নার্স এবং ৪৫ জন টেকনিশিয়ান প্রয়োজন।
অন্যদিকে, শনিবার আরজিকরের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীদের উপরে কোনও ভাবে আর্থিক চাপ তৈরি করা যাবে না। আরজিকরে একশ্রেণির স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের কাছে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অতীন ঘোষ জানান, স্বচ্ছতা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দিচ্ছে আরজিকরের অধুনা রোগী কল্যাণ সমিতি। তাই কর্মীরা রোগীদের উপরে চাপ তৈরি করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও।
আরও পড়ুন: COVID19: ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বাড়ল সংক্রমণ! কমেছে মৃত্যু