কলকাতা: সেমিনার রুমই কি ক্রাইম সিন? নাকি অন্য কোনও ঘর, অন্য কোনও ফ্লোর? সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন সিবিআই-এর কাছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে অর্থো ওয়ার্ডের ফ্লোর ম্যাপ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে ফ্লোর থেকে বেরনোর সিঁড়ি-লিফট। তদন্তকারীদের নজরে ৮ তলার স্পেশ্যাল সার্জারি বিভাগের ওটি।
হাড়হিম করা ঘটনার নেপথ্যে হাড় বিভাগের যোগসূত্র যেমন সিবিআই-এর আতস কাচের নীচে রয়েছে, সেমিনার রুমই ঘটনাস্থল কিনা, সেই বিষয়টিও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিনে তাঁরা যে সমস্ত জায়গার ফ্লোর ম্যাপ নিয়েছেন, তার মধ্যে অর্থোপেডিক বিভাগ, চেস্ট মেডিসিনের ফ্লোর ম্যাপ। উল্লেখ্য, চেস্ট মেডিসিনের ফ্লোর ম্যাপের ক্ষেত্রে লিফট কমপ্লেক্স থেকে যে রাস্তা চলে যাচ্ছে, চেস্ট মেডিসিনের ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে সেমিনার রুমের দিকে, সেই রাস্তাটি, সঙ্গে আরও যে তিনটি রাস্তা রয়েছে, সেগুলোও।
এমডিআর সংলগ্নই সেমিনার রুম। আর সেই রুমের সংযোগকারী হিসাবে যে যে রাস্তা রয়েছে, সেখান থেকে ডায়ালিসস ওয়ার্ডের দিকে যে রাস্তা গিয়েছে, সব কিছুই তদন্তকারীদের নজরে। লিফট ওপরের কোন কোন বিল্ডিংয়ের সঙ্গে কানেক্টেড, তা নজর রাখছেন তদন্তকারীরা। সেমিনার রুমই ঘটনাস্থল কিনা, নাকি অন্য কোনও জায়গায় ঘটনা ঘটিয়ে দেহ ওই রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিনা, সেটাই যাচাই করে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কারণ এর সপক্ষে যে যে ছবিগুলো সামনে এসেছে, তাতে বেশ কিছু বিষয়, যেমন জুতো, ল্যাপটপ, দেহের মাথায় হাত, চাদর বিন্যস্ত- এগুলো প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল।
সেমিনার রুমের বাইরেই যে বন্ধ লিফটের ক্ষেত্রেও আরেকটা জায়গার যোগাযোগ রয়েছে। সেখানেও অর্থো পেডিকের কানেকশন পাওয়া যাচ্ছে। সেভেন্থ ফ্লোরের এসএস ওটি রয়েছে, সেখানে অর্থোপেডিক-সহ বিভিন্ন বিভাগের ওটি হয়। সেটা প্ল্যানড ওটি। বিকাল পাঁচটার পর সেই ওটি কক্ষ খোলা হয় না। তার চাবি থাকে কর্তৃপক্ষের এক্তিয়ারভুক্ত দুটি জায়গায়। ওটি কক্ষ কি খোলা হয়েছিল? বন্ধ লিফট কি ব্যবহার করা হয়েছিল? সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরজি কর সূত্রে জানা যাচ্ছে, যেভাবে তদন্তের ঘটনাক্রম এগোচ্ছে, তাতে অর্থোপেডিকের ফ্লোর, সেমিনার রুম কক্ষের ফ্লোর, এমডিআর-এর এক্সিট, এন্ট্রি- সব নজর রাখা হচ্ছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)