কলকাতা: আরজি কর কাণ্ড, থ্রেট কালচার- এই শব্দবন্ধগুলোর সঙ্গে গত দেড় মাস ধরে যে কয়েকটি নাম তোলপাড় করেছে গোটা বাংলাকে, তার মধ্যে একটি ‘অভীক দে’। এসএসকেএমের স্নাতকোত্তর স্তরের চিকিৎসক-পড়ুয়া অভীক দে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত দু’বছরে যিনি নাকি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অলিখিত ‘ক্ষমতা’ হয়ে ওঠেন। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ অভীক। তিলোত্তমার পর্বে যাঁকে দেখা গিয়েছিল সেমিনার রুমের সেই ক্রাইম সিনে। এমনকি ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ক্রাইম সিনের যে ছবি দেখিয়েছিলেন, তাতেও দেখা গিয়েছে অভীক দে-কে।
এতদিনে সেই অভীক দে সামনে এসে মুখ খুললেন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে শুরু করে কলেজের থ্রেট কালচার- সবই ‘হাস্যকর’ বলেই উড়িয়ে দিলেন। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তিনি সেদিন ক্রাইম সিনে কী করছিলেন? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটনার দিন কখন গিয়েছিলেন?
অভীক দে বললেন, “অনেক কথা আমাকে নিয়ে শুনেছি। আমি নাকি ৮ অগস্ট রাত থেকে আরজি করে ছিলাম। গত ৯ অগস্ট সকাল থেকে নাকি আরজি করে ছিলাম।আমার টাওয়ার লোকেশন দেখলেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তাঁর বক্তব্য, “আমার অবস্থান নিয়ে যেখানে যা বলার বলেছি। সময় এই সকল প্রশ্নের উত্তর দেবে।” বিচারাধীন বিষয়ের অজুহাত দিয়ে এর থেকে বিশেষ কিছুই বলতে চাননি অভীক দে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসক-পড়ুয়া অভীক সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয় আগেই। ইতিমধ্যে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদেরও মুখোমুখি হন। সিজিও কমপ্লেক্সে মাঝরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।