R G Kar-এ সেই রাতের বিশেষ মুহূর্ত এই নার্সের মোবাইলে? এতদিন অন্তরালে! তিলোত্তমা মামলায় শেষমেশ CBI ডেকে পাঠাল শম্পাকে

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 20, 2025 | 5:07 PM

R G Kar: সূত্রের খবর, শম্পা দাস নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে সেই রাতের একটি ভিডিয়ো ছিল, যেটি তিনি ডিলিট করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এটা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছড়ায়।

R G Kar-এ সেই রাতের বিশেষ মুহূর্ত এই নার্সের মোবাইলে? এতদিন অন্তরালে! তিলোত্তমা মামলায় শেষমেশ CBI ডেকে পাঠাল শম্পাকে
সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা নার্সের
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সিবিআই তলবে হাজিরা আরজি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ৪ নার্সের। ঘটনার দিন কর্তব্যরত ৭ জন নার্সকে তলব করে এজেন্সি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ হাজিরা দিলেন চার জন নার্স। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন শম্পা দাস। এই শম্পা দাসের মোবাইলের একটি ভিডিয়ো নিয়েই বিস্তর জল্পনা উঠেছিল।

তিলোত্তমার বাবা-মা প্রথম থেকেই অভিযোগ করেছিলেন, সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর সেই রাতে আরজি করে কর্তব্যরত সকল নার্স ও চিকিৎসককে সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনেনি সিবিআই। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তার অনেকটাই জানেন তাঁরা। তাঁদের বয়ান তদন্তের আওতায় আনা হোক, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি সূত্রের খবর, আরজি করে কর্তব্যরত এমন অনেকেই যাঁরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন, বা সমর্থন জানিয়েছিলেন, তাঁরাও এই নার্স শম্পা দাসের নাম করেছিলেন। সূত্রের খবর, শম্পা দাস নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে সেই রাতের একটি ভিডিয়ো ছিল, যেটি তিনি ডিলিট করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এটা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছড়ায়। আন্দোলন পর্বে অনেকেই তাঁর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁর বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু তিনি বরাবরই নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন। এবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগে TV9 বাংলার মুখোমুখি সেই শম্পা।

TV9 বাংলার তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনার কাছে কি কোনও ভিডিয়ো ছিল? আপনি কি মোবাইলে কোনও ছবি তুলে রেখেছিলেন?”
চুপ করেছিলেন একজন নার্স।

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি নিজেকে এভাবে আড়াল করে রেখেছিলেন কেন?’

তখন মুখ খোলেন। বলেন, “আড়াল করার কী আছে?”

তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনার কাছে কি কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ ছিল সেই রাতে, যেটা আপনি ডিলিট করে দিয়েছেন?’

উত্তর: ‘নাহ!’

‘আপনিই কি ইন্টার্নের অ্যাপ্রোনে রক্তের দাগ দেখেছিলেন?’

সেই প্রশ্নের উত্তরেও চুপ করে থাকেন তিনি। বলেন, “আমার যা বলার ওখানে বলেছি। তদন্তের জন্য ওনারা আমাকে ডেকেছে, আমি অ্যাটেইন করেছি।”

আবারও প্রশ্ন: “তিলোত্তমার বাবা-মাও বলছিলেন, আপনার বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আপনার কাছে ভিডিয়ো ফুটেজ পর্যন্ত রয়েছে সেই রাতের…”

উত্তর: “কী জানি! আমি কিছু জানি না…” পাল্টা তিনিই প্রশ্ন করেন, ‘কীসের ফুটেজ? কী ফুটেজ?’

প্রশ্ন: ‘তাহলে কি সবটা ভুল বলছেন তিলোত্তমার বাবা-মা? আপনি কি সবটাই হ্যান্ড ওভার করে দিয়েছেন?”

উত্তর: ‘কোথা থেকে কী খোঁজ পান, আপনারাই জানেন…’ সব প্রশ্ন হেলায় উড়িয়ে দেন তিনি।

উল্লেখ্য, এই চার জন নার্সই সেদিন হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। তিন জন চেস্ট মেডিসিন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এক জন সায়নী চক্রবর্তী অর্থোপেডিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। যেখানে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রাইয়ের আত্মীয়ও চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কেন এই চার জনের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?

তিলোত্তমার বাবা-মা প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে সে রাতে যে সমস্ত চিকিৎসক-নার্সরা কর্তব্যরত ছিলেন, তাঁদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। তাঁদের বয়ানকে আইনের পরিধিতে আনা হয়নি। নির্দিষ্ট করে কয়েকজন নার্স-চিকিৎসকদের নাম বলেছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সিবিআই-র তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। গত সোমবার সুুপ্রিম কোর্টে গোটা বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টকে মামলা শোনার নির্দেশ দেওয়ার পরই তৎপর হয় সিবিআই। বৃহস্পতিবারই এই চার জন নার্সকে তলব করা হয়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি, তার আগে এই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে উঠে আসা তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।