
কলকাতা: কৃষ্ণনগরে আত্মঘাতী এক বিএলও। সেই নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অমানবিক কাজের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাগিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। এবার এই নিয়ে মুখ খুলল রাজ্যের বিরোধী দল। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা তৃণমূলকে শকুনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, শকুন যেমন মৃতদেহ খোঁজে ঠিক তেমনই তৃণমূলও খুঁজে বেড়াচ্ছে কোথায়-কোথায় কার-কার মৃত্যু ঘটছে। এমনকী, সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
রাহুল সিনহা বলেন, “তৃণমূল আর শকুনের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। শকুন আকাশে উড়তে-উড়তে কোথায় কোনও মানুষ মারা গিয়েছে তার প্রতি নজর রাখতে থাকে। আর যখনই যে মৃতদেহ পায় সেই পশুর মৃতদেহের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তৃণমূলও ঠিক তাই। সর্বত্র চোখ রাখছে কে কোথায় আত্মহত্যা করছে। কে কোথায় মারা যায়। কেউ যদি অসুস্থতাতেও মারা যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এসআইআর বোর্ড নিয়ে হাজির হয়ে যায়। একদম শকুনের ভূমিকা তৃণমূলের অভিনয় মানুষ বুঝতে পারছে।”
এখানে কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা বছর একান্নর রিঙ্কু তরফদার। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মৃতের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তিনি লিখেছেন,’বিএলও-র কাজ তুলতে না পারলে প্রশাসনিক চাপ আসবে। তা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।’ নির্বাচন কমিশনকেও সেখানে দোষারোপ করা হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে রাহুল সিনহা বলেন, “কী স্পিড! মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত টুইট করেছেন। চাকরিহারারা যখন রাস্তায় বসেছিল, সেই সময় তো টুইট করেননি। আসলে এখন এসআইআর থেকে বাঁচতে হবে। মৃতদহ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা অফার দিতে চায়। রিঙ্কু দেবীর মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্ত হোক।”